সুধাময় ! তুই তো এলি না
সুধাময় ! তুই তো এলি না
শুনেছি আমিটা কষ্টে আছে, সেখানে, প্রাণে ধরে,
কি এক অস্থির জীবনে, বেঁচে মরে
দিনগত পাপক্ষয় না পাপগত দিনক্ষয়, বিনা জেনে
চিড়িয়াখানার মোড়ে, হিসেবের খাতায় সই করে !
একবার ভুলেও এলিনা
সুধাময়, কত করে সাধলাম,
অনুরোধে ঢেঁকি গিললি না !
কি করে কে জানে,
শুনেছি খুবই কষ্টে ছেলেটা বাঁচছে সেখানে ,
সেখানে বোকাটা বৃথা খাটে, রোজই ভোরে ওঠে,
প্যান্টে জামা গুঁজে, যা কপালে জোটে, নাকে মুখে গোঁজে
রোজ প্রানপনে ছোটে !
ভয় পেতে ভালোবাসে, দুরু দুরু বুকে, ভিড়াক্কার বাসে বসে মাস গোনে,
গালে দুশ্চিন্তার ব্রণ খোঁটে।
তারপর, চিড়িয়াখানায় গিয়ে উপু হয়ে বসা, সেটা নেকড়ের বাসা,
রোজ নটসূর্য্য কিছু ধূর্ত শেয়ালের সাথে গালে গাল ঘষা,
খিল এঁটে বুকে, একে, তাকে, অপদার্থ ন্যাংটো শেয়ালরাজাকে, অবিরাম, কি সেলাম ঠোকে !
মহাশয় ! মহাভয়, মুখ ফাঁক করে থাকে গোটা দিন,
তাকে বলে হাসা ! ধারালো জীবন আর কষ্টে ভালোবাসা,
ধারালো দিনের তরে, সাধ করে ধার ভালোবাসা !
মানুষের সহ্যের এক অসম্ভব কুসিৎ তামাশা !
তারপর দাঁড়ে বসে, মাঝে মধ্যে দাঁড়ায়, দেয়ালে !
বাবুসোনা, বলবো না, নেকড়েরা দু চোখে হারায়, হঠাৎ খেয়ালে !
বাজারেও নাম হয়, কেমন আছেন,
আজ কোন নেকড়ের, সেইটা বাছেন !
বলে নাকি সেকি সুখ, জ্বলে বুক, দিবানিশি জ্বলে,
সূর্য ঢলে, চাঁদ ঢলে, স্বপ্নে বিক্রি বাট্টা চলে, সাট্টা চলে !
এতো সুখ তবু নাকি চোখ জ্বলে, সোনার গৌরাঙ্গ বুঝি ভেসে যায় জলে !
এতো সব ক’রে, আমিটাকে বাঁচতে হয়, কত করে বললাম, দেখেও দেখলিনা।
সুধাময়, তুই তো এলি না।