হাতে আমার হাতকড়া
আমার মুখ থেকে ঝরে পড়ছে কালকূট
দেশে শুরু হয়েছে মারামারি, দাঙ্গা,যুদ্ধ
সবাই হাঘরে চলে যাচ্ছে;-
আমি মৃত্যুশোকে বিছানায় জর্জরিত
হাতে আমার হাতকড়া।
জীবাত্মা অতি সত্তা
জীবজ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়।
আমার জাবেদার খাতায় গোবেচারা মন
তড়িঘড়ি প্রকট হচ্ছে বিবাদের ক্ষণ:-
দেশজুড়ে এক ভয়ানক যুদ্ধ শুরু হয়েছে
যে যুদ্ধে আমি নেই
হয়তো ঈশ্বরের পরম কৃপায়।
অবিরত আমার মনে হচ্ছে
শহীদের তাজা রক্ত যেন্ আমার হাতে
এক যুদ্ধ জয়ের নকশা তৈরি করছে;
হয়তো আমার মন বলছে
যদি মৃত্যুর শেষ দিনে যুদ্ধে যেতে পারতাম
তবে জীবাত্মা পরম খুশি জাহুবীর জলে।
পিপাসার রক্তস্রোত আমার হৃদয়ের গহ্বরে-
দু-হাত আমার বদ্ধ হাতকড়াতে
কিভাবে তুলবো রাইফেল বিরোধীদের বিরুদ্ধে!!
তারপর আমার লেখার ক্ষমতার কলম
এক অলৌকিক শক্তি দিলো
মৃত্যুর শেষ দিনে;
আমি বিপ্লবীদের কড়া পোশাক গায়ে জড়িয়ে
যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লাম-
এত দিনে বিরোধীদের জয় নিশ্চিত
শেষমেষ দেশের মাটির শেষ সীমানায়
জীবনের শেষ দিনে নিশীথে
বিরোধীদের বুলেটে আমার বুক ঝাঁঝরা করেদিলো-
আমি লুটিয়ে গেলাম
আমার দেশের পবিত্র মাটিতে,
চারিদিকে ধ্বংসের স্তূপ
রাইফেল ও গোলাবারুদে ভরপুর
হাতকড়াতে বদ্ধ হাত রাঙিয়ে উঠলো তাজা রক্তে-
আমি শহীদ হলাম, মৃত হলাম অকপটে।
আমার মৃত্যুর পর:- এতদিনে
শহর ধ্বংস হলো, মৃত হলো
বিরোধীরা লুট করল দেশটাকে
চলে গেলো তাঁরা ‘মহাশূন্য’ করে দিয়ে।
আমার মৃত্যুর কঙ্কাল চলে গেলো
মিশরের পিরামিডে-
বন্দী হলাম আমি
নীল আকাশের ঘন মেঘে।
ঠিক এক যুগ পর
আমার জন্ম হলো
আগের জন্মের পবিত্র দেশের মাটিতে
ভালোলাগার এক লগ্নে।।