হয়তো আমি মানুষ নই
আকাশ কালো মেঘ হয়ে ডেকে ওঠে
ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকায়
বৃষ্টির আগমনী বার্তা শুকনো পাতায় ভর করে উড়ে আসে
ব্যস্ত হয়ে ওঠে প্রানীকূল, যে যার গন্তব্যে পৌঁছনোর তাগিদে –
আমি বেড়িয়ে পড়ি
বৃষ্টি ভিজে হাঁটি
দু-চোখে একটানে এঁকে দিই ছেলেবেলার দুষ্টুমি..
আড়াআড়ি পাড় হয়ে যাই নির্জন গড়ের মাঠ – জৈষ্ঠের গনগনে রৌদ্র উপেক্ষা করে
এই তো সেদিনও আমি নদীর পাড়ে একলা বসেছিলাম – একটা কাক আমার পাঞ্জাবীর খুঁট ধরে টেনে গেল,
ম্যাজিকের মতো ঝোপ থেকে বেড়িয়ে এলো এক প্রেমিক যুগল – ঠোঁট টিপে হাসতে হাসতে তারা গেল আমার পাশ দিয়ে
কিছু এসে যায় না
অগোছালো সাদা গোঁফ-দাড়ি, পিঠ-ছোঁয়া লম্বা চুল, চোখে মোটা কাঁচের চশমায় আমি –
পৌষের রাতে খোলা আকাশের নিচে, হীম শীতল ঠান্ডায়
জ্বর হয় খুক খুক কাশি
নির্ঘুম রাত্রি যাপনে আমি এখন অভ্যস্ত
বহু পুরনো অবহেলিত ক্ষয়ে যাওয়া ইটের কোঠরে একাকীত্ব নিশ্বাস ফেলে – খাঁ খাঁ জীর্ণ এই বাড়িটায় আমি ভীত হই না
একটু সুস্থ হলে হাঁটু জলে নামি – শহরের কোন সরু রাস্তায় বিকল গাড়ির মতো একপাশে দাড়িয়ে থাকি
পাঁকে পা দিই তৃপ্তি পাবো বলে
আড়ালে আবডালে ডিগবাজি খেতে যাই ; ছাদের কার্ণিশে উঠবো বলে হাত বাড়াই
হয়তো আমি মানুষ নই – মানুষ হলে এমন করতো না
মানুষ হলে বলতো না,
যাবার আগে একবার – অন্তত আর একবার
আমি মায়ের হাতে বেদম মার খেতে চাই ।।