এক সুরম্য শান্তির দেশে
এক সুরম্য শান্তির দেশে,
প্রকৃতির সুনিপুণ নির্মল পরিবেশে;
চোর আর ডাকাতেরা গড়েছে আঁতাত,
কেড়ে নিতে নিরন্ন মানুষের ভাত।
অদ্ভুত আর বড়ো বেদনার জন্ম দেওয়া সেই দৃশ্য দেখে;
মরে যেতে ইচ্ছে করে মানবিক মূল্যবোধের মানুষের, চুনকালি মেখে।
কখনো কখনো ইঁদুর আর ঈগলেরও সখ্যতা হয়;
কেউ মৃতদেহ গিলে খায়, কেউ কাটে মানুষের অক্ষম হৃদয়।
ধূর্ত শৃগাল আর নেকড়ের বড়ো মাখামাখি;
ত্রস্ত হরিণ শাবক আর বিপন্ন পাখি।
কালো মেঘে ঢাকা সূর্যের দেখা মেলা ভার;
সূর্যমুখীর বুকে শুধু হাহাকার।
ভুলতে পারে না যারা নিজেদের অতীত আর অদম্য ইতিহাস,
কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে তারাও নির্লিপ্ত, ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস।
‘পৃথিবী এগিয়ে যায়, সূর্যও কক্ষপথে থাকে;
দিন আর রাত্রি ঘুরে আলো আর আঁধারের ঘুরপাকে।
একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে সব’,
এই বিশ্বাসে ভর করে সভ্য মানুষেরা নির্বিবাদে নির্বিকারে দেখে যায় শকুনের ভোজ উৎসব।
রচনাকাল: ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি ২০২২।