বৃষ্টির দিন – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
সারাদিন গগন জুড়ে
ছেয়ে আছে গুরুগম্ভীর জলদেরা,
তারা কভু শান্ত কভু রুদ্র তালে গর্জে ওঠে।
ভেসে চলে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে উদাস ভাবে,
তাদের হতে ঝরা বারিধারার কোনো ক্লান্তি নেই।
মাঠ জুড়ে হরিৎ রেখা গেছে মুছে,
শুধুই এখান ওখানে জমে আছে জল।
দুরন্ত ছেলের দল ছুঁড়ছে কর্দম এ ওর দিকে,
ভিজছে তারা একনাগাড়ে।
পুকুরঘাটের সিঁড়িগুলি সব গেছে ডুবে,
কানায় কানায় তার জল।
মরাল মরালীরা ভেসে বেড়ায় পুলক চিত্তে,
মৎস্যেরা জলকেলি করছে,
আনন্দ তাদের ধরে না ক্ষুদ্র প্রাণে।
গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে কাঁখে কলস নিয়ে
অতি ধীর পদে এগিয়ে যায় কোনো বালা।
চাষীর দল মাথা গাত্রমার্জনীতে ঢেকে
ফিরছে গৃহের পানে।
গাভীরা ডেকে ওঠে ক্ষণেক তফাতে গোয়াল ঘর হতে,
কুকুরগুলি ঝিমোচ্ছে দোকানঘরের উঠানে।
সারাদিন ঠায় বসে থাকি গবাক্ষ পাশে
কখনও বৃষ্টির অঝোরধারার গতি ক্রমে হয়ে আসে ক্ষীণ,
উদাসীন ভাবে চেয়ে থাকি অম্বরের পানে।
একটানা কদমের সুবাসে আর বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে-
মন চলে যায় কোন এক কাব্যের জগতে,
তাই রচে চলি কত কাব্য কাহিনী আপনার মননে।