কথা বড় বেশি কথা বলে
কথা কেন, কথা বড় বেশি কথা বলে, চলো যাই ডুব দিই শর্তহীন কাকচক্ষু জলে, দৃষ্টি নাও,স্পর্শ নাও, কাড় ওষ্ঠ, কালির লেখনী, কাব্য নাও, কবি নাও, নাও যত না বলা কাহিনী, দিও শুধু তাকে, আমার না দেখা নারী, যে কখনো দেখেনি…
কথা কেন, কথা বড় বেশি কথা বলে, চলো যাই ডুব দিই শর্তহীন কাকচক্ষু জলে, দৃষ্টি নাও,স্পর্শ নাও, কাড় ওষ্ঠ, কালির লেখনী, কাব্য নাও, কবি নাও, নাও যত না বলা কাহিনী, দিও শুধু তাকে, আমার না দেখা নারী, যে কখনো দেখেনি…
ভালোবাসলে ডাকাত ভিখারি হয়, ভিখারি ডাকাত ! সাধু ফকিরের মাথায় গজায় হাজার মতলবের ফন্দিফিকির, তুই বলেছিলি আমায় নাকি দিগ্বিজয়ী সম্রাট করবি, চেয়ে দেখ পাগলী, রাজার কি হাল করেছিস ! – আজকাল তোর মুখের দিকে তাকিয়েই ফকিরের সারাদিন কেটে যায় !
যে পৃথ্বী হারিয়ে গেছে পিপাসায় ক্ষয়ে বুঝিনি বেদনা তার বুঝতে পারিনি যদি অনুভবে চেয়েছিলো পানি, চাইলে করতে পারি পারবো কি কভু হোক না গোপন বাসে তারে ভেবে বৃথা কুলখানি?
গান বা ছবি হয়ে থাকতে পারিস, অথবা কবিতা, দোহাই, বিশ্বাস হবি না ! কেননা ভাঙলে, অযথা,আকাশ ভেঙে নীল, মাটিতে ছড়ায়, এখানে ওখানে, ওড়ালে ওড়েনা ! মোনালিসা কাঁদলে ল্যুভরে খবর হয়, আঁখিজল জলছবি হয়েই শুধু থাকে, মাটিতে পড়েনা !
বেশি কথা বললে প্রেম করবি কখন পাগলী ! কথার ওপর কথা রেখে শীতলপাটীখানি পাত দুদন্ড বিশ্রাম নিই, রাত ভোর হলেই তো আবার চোখে চোখে কথা, দিনভর ভালোবাসাবাসি, বড্ড কঠিন কাজ !
কতদিন…দেখিনি আমি দুকূল ছাপানো জলে তীরে বসে তার সেই চেনা গাং, কতদিন পাইনি আমি স্নিগ্ধ নিঝুম রাতে ভেসে আসা সেই হাসনাহেনার ঘ্রাণ। কতদিন হয়নি শোনা পথে যেতে যেতে সেই চেনা সুরে বাউলের গান,, কতদিন দেখিনি আমি দুলতে হাওয়ায় সবুজের খেতে…
ঘর বাড়ি বাগান নদী আকাশ বাতাস আর শূন্যতা জুড়ে চতুর্দিকে ভাঙ্গনের শব্দ, ঘর্ঘর শব্দের মোচ্ছব চলেছে বিরামহীন ! রক্তের মধ্যে গভীর রাত্রে চুরমার করে ভাঙছো তুমিও, সরে সরে যাও, যত দূরে পারো সরে যাও, ভুল করেও বলোনা কাছে থাকবো, নেহাত…
ভালোবাসার কথা নাই বা বললি, খুব বেশি সাজিস না, পাগলী, তোর চোখ বেশি কথা বললে আমার কলম থেমে যায়, অপেক্ষায় থাক, দামাল ঝড় একটু কমলে তোকে ফুলবনে বেড়াতে নিয়ে যাবো !