অন্যরকম স্বাধীনতা
মা ওরা স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করছে।
দেখ, চোখে জল ছলছল, দেহ যেন বৃষ্টি ভেজা,
শরীরটা যেন কয়লার থেকেও কালো, রোদে পোড়া।
মা, ওদের বয়স বেশি নয়, কাজ করতে দেখ পাচ্ছে ভয়
তবুও কাজ করছে কেন ওরা?
ওদের কি জোর করা হচ্ছে নাকি খিদের জ্বালা?
মা ওরা হয়ত মুক্তি চাইছে।
মা ওরা স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করছে।
মা, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ?
একজন নারী চিৎকার করছে।
মনে হয়, ওর উপরে
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
দেখ, ওর সারা শরীরে ক্ষত চিহ্ন, রক্তের দাগ।
ওই নির্যাতিত নারীটিও মুক্তি চাইছে।
ও স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করছে।
ওদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও, মা।
মা তুমি খেয়াল করেছো
আমাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
আমাদের আন্দোলনের ভাষা, বেঁচে থাকার আশা
সব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জোর করে চুপ করানো হয়।
আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
জানো মা,
সবাই পাই ভয়, তাই পারছে না করতে জয়।
মা, আমরা লড়াই করেই বাঁচতে চাই
করবো না আর অকুতোভয়।
জানো মা, এরকমই অনেক অন্যায় অবিচার
ঘটে চলে দিন রাত।
সহ্যের বাঁধ যে যাচ্ছে ভেঙে
ওটাকে ভাঙতে দিতে চাই।
সারাদিন কেটে যাই একটা ভয়ানক ত্রাসে
এখানে বেঁচে থাকা মানে স্বাধীনতার সাথে আপোষ
মা আমাদের গর্জে উঠতেই হবে
রক্তের দাম মেটাতে হবে অক্ষরে।
মা ওদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতেই হবে।
ফিরিয়ে দেবই ওদের স্বাধীনতা।
তবেই হবে অর্থপূর্ণ স্বাধীনতা দিবস।