কি এ -কথার কথা ! –মোঃ রহমত আলী
কি এ -কথার কথা !
===============
মোঃ রহমত আলী
===============
কে ? আসান, কে ? পাষাণ,
কে ? করি পান্তা রুটি পাণ,
পণ কারী, ভুলে নাহি পণ !
জেবে তুলি সুদ-ঘুষ সমান
ডর ভিরু তনু- ডওর নাহি মনু।
শাবক বনীতে সেবক,
নিয়া ছিলে শিক্ষণ কেনা,
কত কি ধার-কর্জ-দেনা।
বনেছি এবার শেষে সাধের
সুপারিশে ভিটেমাটি বেচে।
রাজ-রাজার-রাজ্যে কর্মা,
প্রজারে লুটিব এবার নিরন্তর,
ঘুষঘুষে মিষ্ট্যে বাণী বেচে কিনে।
কে ? আশি, কে ? বিশ,
কে ! না করি, বুনে জাল নিজে,
নিজ ফাঁদে ফান্দা’ই ঘুষ।
সরকার দিছে, নাহি –
মাসিক মন্দা’র। তবু
ছাড় ণাহী, ছাড় ণাহী,
ফকির-মলিক-কৃষক-কুলি
ছাড় ণাহী, ছাড়
ছাত্র-মজুর-মৌলভী-সাহাব!
ছাড় ণাহী কো,
দে’ ভরে দে’ ঝলি
সমিত মোর কামিজ।
কে ? কম, কে ? বেশি,
নাহি পাল্লা’ ওজন কাজী
মিজান হবে তব দেখি !
কথার কথা নহে ,এ কথা
সুদ ভারী না ঘুষ ভারী
কোথা তমা আমানতদারি
টিকি ধরে, টিকে আছে,
ব’ ‘হু দপ্তর,-দপ্তরী।
কে ? খায়, কে ? খাঁয়েনা,
সূরাত দেখে বুঝ পায়না।
হালাল রুজি রোজ হারায়ে,
হারাম- আহ-আরামে !
দেহ ঘর মন ভোজ -লে’।
হিসাব নিকাশ হবে যবে একদিন,
তো দেখা যাবে,
দেখবো ; কি হয় সেদিন !
ঘুষ নিলে আজ,জনাব ঝুড়ি-ভরি।
তবে ঘুষ দিয়ে-ই বিচার দিবস
পার হয়ো,পুলসিরাত সেই দিন।
কে?কে? চায় কে?
স্বেচ্ছায় দিতে ঘুষ খুদ,
সরকারি বেসরকারি ব্যক্তি
পর্যায় সবে আজ চাহি
লয়ছে খুব ঘুষ।
কহে ঠাট্টা বাহানায়
কলমে নাই কালি
কেমনে সই করি।
অজুহাত কত কি কহে,
জবান হতে, জানে তারা
কেম -নে জেব-কেটে,
জেব নিতে হয় ভরে।
কে?কে? না দেয় কেমোনে
এবার দপ্তর খরচ দেখি।
নব্বইভাগ চাপ এখন
তোর ভাগেই বেশি।
ভয়ে কাতর ষাড় বনীল বলদ!
না চাহিতে ও আমি-তুমি,
দিতে ঘুষ বাধ্য!
বাঁচিতে না পারিয়া শেষে,
নিরুপয় হয়ে গেলাম,
সমান দোষে দোষী !
এখন তো ঘুষখোর ;
আপনা আপনি খুশি !?
০৬.০২.২০২৩