কৈশোর প্রেম
তোমার মনে পড়ে সীমা?
সেই ছোট্ট বেলায় এক্কা দোক্কা খেলতে গিয়ে
তোমাকে গালি দিয়েছিলাম। শালি বলে।
তুমি আমার আম্মাকে বলে দিলে
আর আম্মা কোন দয়া দেখালোনা।
বেদম পিটালো আমাকে। গালে, পিঠে, নিতম্বে।
এবং মাথার নিচের দিকের চুলগুলো উল্টো দিকে –
মানে নীচ থেকে উপরে টেনে টেনে শাস্তি দিল বিস্তর।
এতটুক বয়সেই অমন অকথ্য ভাষার গালি।
বড় হয়ে তুই নিশ্চয়ই নারী বিদ্বেষী হবি।
আমার স্বপ্ন ভোরেই দেখতে হলো তোর দুরাশার ছবি।
সাজাটা হয়তো প্রাপ্যই ছিল আমার।
কিন্তু আড়চোখে সেদিন তোমার চোখে…………
দেখেছি আমার শাস্তির নির্দয় উপভোগ।
তোমার জয়োল্লাসের বুনো উদযাপন।
শুধু চেয়ে থাকা ছাড়া আর
কিছুই করার ছিলনা আমার।
আমার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সেদিন বাকরুদ্ধই ছিল।
তোমাকে দেখার ভাষাহীন স্পর্ধায়
বুকচাপা হু্ঙ্কার ছিল মনে মনে…
আমার যেদিন আসবে সুদিন দেখে নিও তান্ডব।
কিন্তু ওটুকুই………………..।
আর কোনদিন……… ফিরলো না আমার সেই সুদিন।
তবুও আমি তোমার কাছেই ফিরে আসি
বারবার, শতবার এক্কা দোক্কা খেলবো বলে।
পরদিন কেউ খেলতে যাইনি,
তার পরদিন শুধুই ছটফটানি।
তারও পরের দিন আবার দুজনে
মত্ত হলাম এক্কা দোক্কা খেলায়।
আজ স্মৃতির পুরানো পকেট হাতরিয়ে
খুঁজে পেলাম ধুলো মলিন কিছু খুচরো অনুভূতি।
এটি সেগুলোরই একটি ক্ষুদ্র সংস্করন।
ছোট্ট বেলার সেই রুদ্র সকাল
ঠুনকো বিবাদের বৈরী বিকাল।
নিমেশেই বিভেদ ভুলে ভাসিয়ে আনন্দ ভেলা
একাকার হয়ে যায় আমাদের এক্কা দোক্কা খেলা।
বয়সের এই সুবর্ন জয়ন্তী ক্ষণে,
কেবল তোমাকেই পড়ছে মনে…………….
আজ তেরই ফেব্রুয়ারী দিনশেষে কৈশোর মুগ্ধতা ছুঁয়ে
আগামীকালের ভাষায় ঘটা করে কিছু বলার আছে কি?