চাই মৃত্যুদন্ডের বিশেষত্ব
চাই মৃত্যুদন্ডের বিশেষত্ব
কেউ আমাকে এক টুকরা সম্ভ্রম এনে দাও
আমার লজ্জিত মুখটা একটু লুকাতে চাই।
কেননা আমিও তো পুরুষ! হারুন নামের
নরপশুটাও দেখতে অবিকল মানুষের মতই।
কিভাবে বেঁচে আছেন সায়মার বাবা-মা?
আমার মেয়ে ভেবে কল্পনায় আঁকতে গিয়ে
সেই দৃশ্যের ছবি, থমকে গেছে তুলির আঁচড়;
আঁকতে পারিনি আমি কচি মুখের মৃত্যু নিথর।
পুতুলের মত নিষ্পাপ শিশুও আজ বিভৎস
পৌরুষ শৌর্যের পাশবিকতায় ক্ষতবিক্ষত।
মহামারি রুপে আদিম উন্মাদনা বলাৎকার,
ধর্ষণ, গুম, খুন সংবাদ শিরোনাম রোজকার ।
সন্নিকটেই বুঝি মহাপ্রলয়, কিয়ামত অনিবার
অস্থির পরকীয়া, অবিরাম ব্যভিচার, দুর্বার।
উস্তাত থেকে শিক্ষক, নেতা থেকে প্রশাসক
ইমাম থেকে পুরোহিত, ষাটোর্ধ বৃদ্ধও ধর্ষক।
এ কেমন অরাজক! যান্ত্রিক সভ্যতা.
কুম্ভকর্ণ ঘুমে কানুন, বিপন্ন মানবতা।
কাঁদে ফরিয়াদি, আইনের ফাঁক গলে
প্রতাপান্বিত অপরাধেরও মুক্তি মেলে।
হায়! জীবনের এ কোন অধ্যায়
দেখতে হচ্ছে অনিচ্ছায়। সবই অনিরাপদ।
কণ্যার কাছেও পিতা নরশার্দুল শ্বাপদ
মাতার কাছে সন্তানও যেন আস্তাকুড়ের গাদ।
মুক্তির মিছিলে একটাই দাবী, ধর্ষকের
বিচার চাই জনসন্মুখে। একটি একটি
করে তার অঙ্গ কেটে কেটে পুরুষত্ব
দৃষ্টান্তই হোক এই মৃত্যুদন্ডের বিশেষত্ব।
৯ জুলাই ২০১৯, দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।
Subscribe
Login
0 Comments