তোমাকে স্যালুট কবি
কি কবি মুখ থুবড়ে পড়ে আছো ক্যানো?
কবিতা কি আর আগের মতো ধরা দেয়না?
এ-তো অন্যায়, অবিচার, খুন, ধর্ষণ
তোমার হৃদয়ে কি সৃষ্টি করেনা বারিধারা বর্ষণ?
শুনেছি তুমি নাকি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছো পদবী?
তোমাকে নাকি ডাকছে মিথ্যের সাথে সত্যের –
নীল পানির সাথে লাল পানির আঁতাত করতে?
তুমি তো লড়েছিলে সত্যের তরে।
তুমি নাকি একদিন বিদ্রোহ করেছিলে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে?
উপড়ে ফেলতে চেয়েছিলে মাদকের বিষদাঁত
গাড়তে চেয়েছিলে সত্যের ঝাণ্ডা —
মিথ্যেবাদীরা নাকি হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে ডান্ডা?
কবি! প্রেমময়ী কবি —
হৃদয়ের পরতে পরতে জাগাও আবার প্রেম
শব্দের ঝাঁঝালে তাড়াও কলমের জং —
কবিতার কষাঘাতে মেরুদণ্ড দাও ভেঙে।
আমি শুনেছি তুমি নাকি সমাজপতিদের মাথায় ছাঁই ঢালো
সমাজের কলকাঠিতে করো চপেটাঘাত —
পদাঘাত করো স্বার্থান্বেষী আইন প্রণেতাদের নিতম্বে
সিগারেট ফুঁকো দলিলের কাগজগুলোতে আগুন লাগিয়ে।
কবি তুমি নাকি ধৃতিমান্,একরোখা হ’য়ে গিয়েছো
আল্পস পর্বতের মতো অনমনীয়,দুর্দমনীয় তোমার কথা
তুমি নাকি নিরবধি ব্যথা অলিন্দে চেপে অবিরাম হেঁটে চলো
সজোরে পদাঘাত করো মিথ্যেবাদীদের পশ্চাদ্দিকে।
তোমাকে স্যালুট কবি শতসহস্র লক্ষ কোটিবার
তোমার চোখে আমি দ্যাখেছি বিশ্ব জ্বালাবার হুংকার
সত্যের পূজারী তুমি, এ বিশ্ব তোমার ভূমি —
সেথায় ইচ্ছে সেথায় করো সত্যের চাষ —
এ সত্য যেন আমৃত্যু করে তোমার হৃদয়ে বাস।