বসন্ত আসেনি কখনো..
বসন্ত আসেনি কখনো..!
সুমিত দরানী…
বসন্ত আসেনি..
আমার সম্মুখে হাসি মুখে এসেছিল ব্যার্থতা ।
আমি তাকে কখনোই চাইনি..!
তবুও সে আমাকে ভালোবাসে আঁকড়ে ধরেছে..
আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলাম..–
তুমি বা তোমাদের কারো করুনা ঝড়ে পরছে কী না
তোমাদের হাঁসির শব্দ আমার ব্যার্থতা কী না?
ছিল না!, আমি একাই দাঁড়িয়ে ছিলাম ফাঁকা রাস্তায়।
সেই শুরু…
তারপর থেকেই ব্যার্থতা আমাকে ঘিরে রেখেছে,
তাকে ডিঙিয়ে তোমাদের সমাজে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারিনি।
সেই সাহস ও আমার হয়নি কখনো..
তবে একবার ব্যার্থতা কে পেছনে ফেলে এগিয়ে ছিলাম..
কিন্তু,পথের শেষে আবছায়া হয়ে এল অনিশ্চিয়তা!
একবার তাকেও পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলাম। তোমাদের দরবারে..
কী দিয়েছিলে..?
চোখ ঝলসানো চাহনি,আর অভিশপ্ত ছাইয়ের মত একটু সহানুভূতি.
বিশ্বাস করো,সে সবও সয়ে গিয়েছিল একটা সময়,
আমি মনে নিয়েছিলাম , কল্পনার ফুল জীবনে আর ফুটবে না।
আমি ধরেই নিয়েছিলাম, আনন্দময় জীবন আমার হবে না…
কল্পনার ফুল গুলো বাস্তবে কখনোই গন্ধ ছড়াবেনা
একতাল অনুরার মত হাতের পরে ছিল ব্যার্থতা!
এত কিছু নেই জেনেও আমার কিছুই করার ছিল না
আসলে আমার ব্যার্থতা ছাড়া কিছুই ছিল না..
আমি সাদা পাতা ,যার উপর সবই ফাঁকা;
কিছুই ছিল না আঁকার..
হ্যা,একবার বোধহয় তুমি বা তোমরা তাকিয়ে ছিলে!
একটু মায়ায় ভরা দৃষ্টিই যেন ছিল..
হয়তো সাথে অল্প কিছু আদরও থাকতে পারে।
সেই যা আমার পাওয়া..
তবে,মধ্যরাতে একা ছাঁদে উঠে ভাবি!
একদিন দুই হাতের মুঠো ভরে বসন্ত নিয়ে আমি সকল ফুল গুলো বাস্তবে রাঙাবো…
কিংবা,একটা রাতের আধারে বসন্ত নিয়ে হাঁটব চাঁদের ছায়ায়।
আমার এই স্বপ্নের পেঁজা মেঘের দল কখনো বৃষ্টি হয়ে ঝড়েনি!
কল্পনার ফুল গুলো কখনোই পাখা মেলে ওড়েনি,
তবে আমি কিছুটা চিনতে পেরেছি বাস্তব..
আমি চারিদিকে চেয়ে দেখি, সে কী..?
কোথায় হারিয়ে গেল স্বপ্নের শহর?
কৈশোরে সেই উচ্ছাসিত পদধ্বনি..
ওরা আমাকে দেখতে পারেনা ঠিক! তবে আমার ব্যার্থতা চেনে।
আমি এখন চাঁদের জ্যোৎস্না দেখে বলে দিতে পারি..
তোমাদের এই হাসি কতটা কৃত্রিম রং এ সাজানো।
আমি নদীর ঢেউ ছুঁয়ে বলে দিতে পারি.!
তোমাদের সুন্দর মুখোশের পিছনে লুকিয়ে থাকা কান্না…
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি!
কার চোখের জল মুছে যাচ্ছে বৃষ্টি হয়ে..
অথবা,বোবা কষ্ট গুলো উড়ে যাচ্ছে প্রজাপতি হয়ে।
আমি জানি দীর্ঘ এই স্বপ্ন যদি হত কবিতার রুপ!
তবে,সেই ব্যার্থতা হত আমার স্বপ্নের বসন্ত স্বরুপ…
#মন_সায়রের_পারে