বিদ্যাসাগর।
এক যে আছেন বিদ্যাসাগর
মোদের মনের মাঝে,
তিনি মোদের সকল কাজে
সকাল থেকে সাঁঝে।
বর্ণ সাথে পরিচয়ে
তিনিই ত কাণ্ডারী,
বাংলা ভাষার ঐশ্বর্যের
ঈশ্বরীয় ভাণ্ডারী।
এক যে আছেন বিদ্যাসাগর
দেখান মোদের দিশা,
অসহায়া নারীর মুখে
জুগিয়ে গেছেন ভাষা।
অন্যায়ের সাথে কভু
নাই কোনোই আপস,
সংসারের মাঝে থেকেও
ছিলেন মহাতাপস।
এক যে আছেন বিদ্যাসাগর
দয়ার সাগর বটে,
তিনিই মোদের পরম গুরু
সমাজ সেবার পাঠে।
মায়ের কথায় ঝাঁপ দিয়েছেন
অতল দামোদরে,
আলো কোরে আজও আছেন
দেশজননীর ক্রোড়ে।
এক যে আছেন বিদ্যাসাগর
ভুলেছি তাঁর নাম,
আজকে তাঁর জন্মদিনেও
করেছি কি প্রণাম !
নব্য যুগের বাঙালী হায়
জানেনা মাতৃভাষা,
বিদেশী ভাষায় স্বপ্ন দেখা
তাদের এখন নেশা।
তাই ত’ বলি বিদ্যাসাগর
সত্যি ছিলেন বোকা,
মগজ তাঁর ছিল বোধহয়
এক্কেবারেই ফাঁকা।
নয়ত কেউ এমন করে
ভাবেন সবার তরে !
ঈশ্বরই ছিলেন আগে
মানুষ ছিলেন পরে।
স্বপন চক্রবর্তী।