ভাইফোঁটার গল্প
হোয়াটস্যাপ খুলতেই হাজার শুভেচ্ছা বার্তার ভিড়ে
দৃষ্টি পরলো হৃদয়স্পর্শী আদর ছোঁয়া কয়েকটি লাইন
কেমন আছিস বোন? সব ঠিকঠাক তো?
মেয়েটি থাম্বস আপ সাইন দিয়ে লিখলে
বেশ ক্লান্ত,ফিরলাম সবে অফিস থেকে
আহা রে বিশ্রাম নে, অসময় কেন মুখ বইয়ে??
মেয়েটি আবার থাম্বস আপ দিয়ে জানালে-
হ্যাঁ নেব খন,সদ্য স্নাত চুলগুলো ভিজে চুপচুপে
বিকেলের আলসেমির রোদ্দুরে মেলে দিলাম কিছুক্ষণ, তুমি কী কথা শেষ করতে না করতেই ;
আহা ছোট করে গুছিয়ে রাখিস তোর সুবিধে মতন।
মেয়েটি দুচোখে ভালোবাসা ভরে বললে,
কেমন আছো তুমি?যত্ন নিচ্ছ শরীরের??
এককথায় ঝটপট উত্তর ভালো আছি।
মেয়েটি বুঝল কত ভালো না থাকার কাহিনীগুলো ডালপালা মেলে এক মুহূর্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে কি নিদারুন ব্যস্ততায়,
ছলছল চোখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে অবাক জিজ্ঞাসা
শোননা, তোকে বোনটি আমার দেখার বড় সাধ হয়
আমতা আমতা করে বললে, চিনতে পারবি আমায়
এক নিঃস্ব পাতা ঝরা গাছ কঙ্কালসার দেহ শুষ্ক ত্বক,
খোঁচা দাড়ি রৌদ্রে পুড়ে বাদামি হয়েছে ইদানিং গায়ের রং,
মাঠের কাদা লেপটে আছে সারা দেহে
পারবি? পারবি তুই চিনতে আমায়??
মেয়েটি চিৎকার করে বললে পারবো বইকি,
তুমি কি জানো না চোখ খুঁজে নেয় তার স্নেহের পরশ,
ঈশ্বর,এমন ছবি আঁকা কী খুব প্রয়োজন??
এরপর কিছুক্ষনের বিরতি নিস্তব্ধতা ভেঙে মেয়েটি লিখলে,আজ একটা নতুন চারা গাছ পুঁতবো।
নাম দেবো ভাইফোঁটা
আমার রোজ মঙ্গলকামনায় সে একদিন ডালপালা মেলে
সবুজে সবুজ হয়ে উঠবে ভরে উঠবে ফুলে-ফলে কানায় কানায়।