উদ্যম ফি
![]()
উদ্যম ফি
কলমে- সুব্রত পণ্ডিত
উদ্যমে সব কাজ করতে হয়, তা বলে — উদ্যম ফি!
প্রশ্ন করোনা, মানে জানতে চেয়ো না– এটা আসলে কী?
ফাইল ঘুমায় অফিসারের টেবিলে, এটা সিস্টেমের ধর্ম।
সব টিকচিহ্নে তেল দেওয়া, আগুন দেওয়া– সতত জনগণের কর্ম।
অন্তর নাচে নিয়ম পেতে, বিবেক বসে বসে ঘুমায় বাইরের গেটে।
নোটের গন্ধে পাখা ঘুরে বনবন, ছোঁয়াচে রোগে দেশটা গেছে পুরো ঘেঁটে।
শুনলাম, সব ঠিক আছে– শুধু একটু আগুন চাই।
বুঝলাম, সেই আগুনই নাকি– কাজের অনুপ্রেরণার মই!
আজকাল কাজ হয় না, উদ্যম না থাকলে।
আসলে এই উদ্যমটি জাগে না– তেল না পেলে।
ভাই, কাজটা পাওয়া সহজ নয়, কাগজপত্র ঘুমায়,
উদ্যমটা বাড়াতে হবে– শুকনো হেসে চোখ টিপে কয়।
এটা কিন্তু ঘুষ নয়, চাই একটু-আধটু চা-নাশতার তেল।
ক্ষতি নেই, জনতার ন্যাড়া মাথায়– ঘনঘন পড়ুক পাকা বেল।
নিয়মের খাতায় লেখা নেই, তবু সবাই সবই জানে,
কখন কোন বোতাম টিপলে- কোন মেশিন জোরে চলে।
পেলে আগুনের ভালোবাসা, পরিষেবার ডানা খুলে মেলে উড়ে,
ঘুমন্ত ফাইলটা জেগে ওঠে, চায়ের সাথে কাজের গতি বাড়ে।
খবরদার! এখানে “ঘুষ” নামক অপশব্দটি উচ্চারণ করবেন না।
এটা খুব বাজে জিনিস– তবে উদ্যম ফি ছাড়া কাজ এক চুলও হবে না!
ভাসছে সময়, ভাবছে রাজা– প্রজার কাছেই আছে আসল ঘি।
আর এই আগুন ও তেলটারই– আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত নাম – উদ্যম ফি!
ঘড়ির কাঁটা টিকটিক, চেয়ারগুলো হাসে, ন্যায়ের নতুন সংজ্ঞা- অনিয়ম।
উদ্যম বাড়াতে ফি অবশ্যই প্রয়োজন- হয়েছে আধুনিক সনদ প্রণয়ন।
দেশে যত নিয়ম, তার ভেতরে তৈরি হবে- রংবেরঙের নিয়ম,
উদ্যম ফি উত্তরণে, উন্নতি সামগ্রিক নয় – হচ্ছে কাজের সার্বিক উন্নয়ন।
ভাবতে যেয়ো না, উত্তর চেয়ো না– এটা আসলে খাঁ-টি ঘী।
উদ্যোগি তুমি হাসিমুখে উদ্যমে দিয়ে দাও– উদ্যম ফি।।
![কবিকল্পলতা প্রকাশনী [Kobikolpolota Prokasoni]](https://prokasoni.kobikolpolota.in/wp-content/uploads/2020/08/pro-nw-m-logo.png)