দেবী
- আমি কন্যা… … ..
তোমাদের চার পাশে ছড়িয়ে আছে আমার অনেক রূপ।
যাদের জন্ম এক দেবীর গর্ভে… ..
শাড়ির রাঙা পার, কপালের সিঁদুর রঙা টিপ
আর আলতা মাখা পায়ের, স্নেহময়ী রূপে আলোকিত সেই মাতৃসত্ত্বা।
তাঁরই বহু যত্নে লালিত আমার এই নারী শরীর… … .
এলো চুলের আড়ালে ওই কালো হরিণ চোখ… ..
আর রাঙা ঠোঁটের মিষ্টি হাসি… .. .. যাতে কাঁপন ধরে তোমাদের হৃদয়।
হঠাৎ একদিন তোমাদের মুগ্ধ চোখের ভিড়ে দেখলাম কিছু হিংস্র, লোলুপ দৃষ্টি… ..
মূহুর্তে তাদের নিষ্ঠুর অট্টহাসিতে অন্ধকার ঘনীভূত হল চারপাশে
আমার নরম শরীরকে ঘিরে ফেলতে লাগল তাদের পৈশাচিক কামনার আগুন।
সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে ডাকলাম সেই স্নেহময়ী কে… .
সন্তানের আকুল আর্তনাদে সেদিন অকাল বোধন হল এক দেবীর।
কপালের সিঁদুর রঙ সেদিন জ্বলে উঠল ত্রিনয়ন সম… .. .
সিংহবাহিনীর তেজে সমস্ত শক্তি উজার করে সে বিনাশ করল অশুভ শক্তির,
এক মা রক্ষা করল তাঁর কন্যার রক্তাক্ত সতীত্ব কে।
অন্তরের শঙ্খরবে সূচনা হলো এক অন্তহীন দেবী পক্ষের… .. .
তোমার দূর্গা ডাকের সাজে, ঢাকের তালে, অনেক আলোর মাঝে… .
আমার দূর্গা ঝড়ের রাতে, আঁধার পথে আমায় আগলে রাখে।
তোমার দূর্গা বিরাজ করে আমার মায়ের মাঝে।
… .. … যুদ্ধ শেষে সেদিন দূরে কোথায় যেন ঢাক বেজে ছিল
আমার সদা লাস্যময়ী মায়ের ওই জ্বলন্ত রূপের দিকে তাকিয়ে
রক্ত ভেজা সমস্ত যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে রন্ধ্রে রন্ধ্রে শুধু একই মন্ত্র ধ্বনিত হয়েছিল…. . .
“ইয়া দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতাঃ
নমস্ত সৈ নমস্ত সৈ নমস্ত সৈ নমো নমঃ।
ইঁয়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতাঃ
নমস্ত সৈ নমস্ত সৈ নমস্ত সৈ নমো নমঃ”… .. … .. .