নিশীথিনীর তন্দ্রাভঙ্গ
![]()
গোধূলিলগ্নান্তে যখন তমিস্রা ঘনিয়ে আসে,
ধরণীর ক্লান্ত বক্ষে শ্রান্ত নীরবতা ভাসে।
সহসা কুজ্ঝটিকার ধূসর আবরণ ভেদ করি’,
অস্ফুট কলরবে যেন জাগে বনান্তরী।
পত্রপুঞ্জের মর্মরধ্বনি, ঝিল্লীর ঝঙ্কার,
নিস্তব্ধ কাননে তোলে এক স্বপ্নালু ঝঙ্কার।
দূর দিগন্তে জ্বলে ক্ষীণ জোনাকীর জ্যোতির্ময় রেখা,
যেন অনন্ত আকাশে আঁকা কোনো বিস্ময়-লেখা।
হৃদয়ের গহীনে লুকানো বেদনা সঞ্চয়,
এই নিশীথে সহসা যেন ব্যাকুল হইয়া রয়।
অতীন্দ্রিয় কোনো সত্তা দেয় যেন হাতছানি,
স্মৃতির অতলান্তে ডুবে খুঁজে ফিরি হারানিধি।
কে জানে, এই ক্ষণে হয়তো কোনো দিব্যবাণী,
প্রবাহিত হয় ধীরগতি, নাহি যায় কানে হানি।
তবুও অন্তরাত্মা বোঝে সেই গুঢ় ইশারা,
নিশীথিনীর তন্দ্রাভঙ্গে জাগে এক নতুন দিশারা।
![কবিকল্পলতা প্রকাশনী [Kobikolpolota Prokasoni]](https://prokasoni.kobikolpolota.in/wp-content/uploads/2020/08/pro-nw-m-logo.png)