পীর মুরিদের জটলা
বাবা! চিন্তে পারছো না মোরে
কতো পা টিপে দিয়েছি তোমায় ভোরে।
যে টিকেট বিক্রি করেছিলে অধমের কাছে
মাঝি বলছে সে-ই টিকেট ভুয়া আর মিছে।
সেইদিন ব’লে ছিলে মাঝি হবে তুমি
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলাম, টিপে ছিলাম পা’খানি।
ধরো বাবা, করো পার, সহ্য হবেনা এতো মার
পেট ভরিয়ে করাবো আহার।
রাখ্ বেডা তোর ভোজন বিলাসী গান –
চিন্তায় আছি আমি, কাজে আসবে কি-না —
লাফিয়ে লাফিয়ে গাওয়া আল্লাহ রাসুলের শান।
যখন গেয়ে ছিলাম “অ-মুর্শিদ পথ দ্যাখাইয়া দাও”
তখন ক্যানো বলো-নি এ গান ফাও?
যখন গেয়ে ছিলাম “পার করো মুর্শিদ আমায়”
তখন ক্যানো বলো-নি?
“অক্ষম তুমি, করতে রুজি-রোজগার কামাই”।
সত্যি যদি দিতাম ব’লে,মোর রোজগার যেতো জলে
করতে পারতাম না রঙ্গলীলা ছলচাতুরীর ছলে।
মুরগির রান, কলিজা ভুনা খেয়ে বাড়িয়েছো ভুঁড়ি
মিথ্যে বুঝিয়েছো কুরআন হাদিসে মেরে ছুরি।
রেখে অন্যের হাতে চাবি, মুক্তির কান্ডারী করেছিলে দাবি
কতো নারীর নিয়েছিলে ঘ্রাণ, দিতে গিয়ে মুক্তির ফরমান।
বন্ধ করো বকবকানি
সেইদিন ক্যানো যাচাই করোনি ঈমানী রুহানি?
তরীর মাঝি সাচ্চা লোক, ঈমান দ্যাখে তুলে
আমি আছি নিজের চিন্তায় উঠতে যদি পারি ভুলে।
ধরবো টেনে পিছন থেকে, দেবোনা উঠতে তোকে
যেতে হবে ও-ই পাড়েতে সর্ব হিসাব চুকে।
বাবা সেজে পীর বেশে দিয়েছিলে সলা
অন্যের চাষাবাদ জমিতে বসিয়ে ছিলে ফলা।
এমন জায়গাতে এসেছি পাগলা
নেই এখানে পীর মুরিদের জটলা
যার ঈমান যতো ভারি, অতি সহজেই দিবে পাড়ি।
কতো সাধক রইবে পড়ে খেয়া ঘাটে
এইদিক ওইদিক দৌড়াইবে মাঠে
সময় থাকতে হইনি উপাসক
সেজে ছিলাম মিথ্যে সাধক।
০৭/০৯/২০২২ সৌদি আরব