বঙ্গভূমির প্রীতি
![]()
রাত্রির শেষে, ‘দিবাকর’ হেসে, প্রভাত হইলো সবে;
পাখিদের গানে আকাশ ভাসিল, গীতিকার কলরবে।
ভাবি, কি অপূর্ব বঙ্গের মাঝে, রংময় এই সকাল;
কত না চিত্ত বিগলিত করি রহিয়াছে সে চিরকাল।
আহা সুন্দর এই দৃশ্য হেরিয়া, চক্ষু জুড়ায়ে যায়;
কত দেখিয়াছি, তবুও পরান আরও যে দেখিতে চায়।
ওই শোনা যায় খেয়ালি কোন রাখাল ছেলের সুরে,
পশুগুলি তায়, প্রান ফিরে পায়, যাইতে পাইলে দূরে।
সারি সারি ওই চাষাদের দল, হাঁকায় গরুর গাড়ি;
সাঁঝের আগেতে ফিরিতে হইবে, এত তাই তাড়াতাড়ি।
নব নব সব বঙ্গ-বধুরা, কলসি লইয়া কোলে,
গৃহস্থালির কাজটি সারিয়া, জল আনিতে যে চলে।
লাঙ্গল-কোদাল-দরিগাছি লয়ে মুনিশের দল ছোটে,
হৈ-হুল্লোড়ে কাজ করে তারা একসাথে-একজোটে।
হাসিতে খেলিতে বালকের দল উড়ায় পথের ধূলা,
হাস্য করিয়া কলরব করে, যাইতে যে পাঠশালা।
এহেন দৃশ্য হেরিয়া যে মোর নয়ন হইল শিতল,
সারা বিশ্ব খুজিয়া দেখিলে, এরুপ বঙ্গ বিরল।
বক্ষে তোমার জনম দিয়াছ, মরিলে লইও কোলে…
প্রনাম তমায় বঙ্গ জননী, প্রনাম চরণ তলে…।
![কবিকল্পলতা প্রকাশনী [Kobikolpolota Prokasoni]](https://prokasoni.kobikolpolota.in/wp-content/uploads/2020/08/pro-nw-m-logo.png)
বেশ ভালো। কিন্তু একটু অন্য রকম লেখা চাই।
কিরকম? একটু ভেঙ্গে বলবেন?
রবীন্দ্র, নজরুল প্রভাব বর্জিত লেখা চাই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যুগে কবিতাকেও ইন্টেলিজেন্স রুপে আপগ্রেড করতে হবে। কবির ভাবনায় কবি স্বাধীন থাকবে কিন্তু রচনা শৈলীতে আনতে হবে নবজাগরণ।
কিন্তু এই যে “চাই” , সেটা কার চাই?
আর আমি যদি রবিন্দ্র আর নজরুল কে ধরে রাখতে চাই?
আমি যদি প্রখ্যাত হওয়ার জন্য artificial intelligence এর নবজাগরন না চাই?
যদি বলেন কার চাই, তবে বোলবো আমি আপনার কবিতার একজন পাঠক হিসেবে চাই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর নবজাগরণ মানেই প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব নয়। আর কলম যখন কবির হাতে তখন কবি কি চাইবেন না চাইবেন সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে আমি মনেকরি।