বৃষ্টি
আমি তখন দেখছি, বৃষ্টি এলো দুপশলা
ঘাসগুলো সব ভিজে মালার আবরণে ঢাকলো
আত্রাইয়ের তীরে দেখেছি অনেক স্রোত, সেদিন
পূর্ণিমার রাতে না, তীব্র সূর্যের দাবদাহের সেই বৃষ্টি
বাড়ি গুলো স্নাত হয়ে ফিরল শেষে
নতুন পোশাক জরাজীর্ণ গায়ে ঝলমলিয়ে ফুটছিল
এভাবেই আমরাও স্নান করলাম বর্ষার জলে
একসাথে, একই নামে একই স্রোতে
সে স্রোত বয়সের সাথে হয়েছে আরো উদ্যম, চঞ্চল
বৃষ্টি ক্রমাগত বাড়ছে, আমাদের বাড়ি জলের তলায় চলে গেলো
আমি পাড়ে দাড়িয়ে সেই হাহাকার নিমগ্ন হয়ে দেখলাম
আমাকে তারা ডাকছিল অবেলায় উদ্যানে
আমিই ফিরে চাইনি তাদের দিকে, তারা চলে গেল
পড়ে রইল আমার শৈশব, দুরন্ত ছেলেবেলার ইতিহাস
সেই গ্রামে আর আমার ফেরা হয়নি
তারপর, নৌকা ভ্রমনে সোচ্চার হয়ে দেখলাম সেই প্রিয় ব-দ্বীপ
যেখানে জন্মেছিলাম আমি আমার প্রেম আমার শৈশব
আমাকে সেদিন ওরা দুর দেশে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো, আর ফেরা হয়নি
প্রিয় মানুষদের থেকে সেই কতকাল দুরত্ব রেখে বেচেঁ ছিলাম
সেকথা খোদ আগামী ও জানবে কিনা জানা নেই
আবার বৃষ্টি এলো, তবে মিলনের
আমি ভাসলাম সঙ্গী নিয়ে, আমাদের সব হল
ঠিক সেইদিন ভীষণ দারুন বৃষ্টি এল।।