ভালো থেকো পরপারে
“ভালো আছি, ভালো থেকো —
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো ”
এই জগতে তো ছিলেনা ভালো —
নিকোটিনের ধোঁয়ায় জীবন ছিলো কালো।
ভালো কি আছো ওপারে?
আমিও যাবো হেঁটে তব সৃষ্ট পথে
তোমার জীবন আমার জীবন —
একই স্মৃতিতে ঢাকা, লাগে পুরো পৃথিবী ফাঁকা।
সমস্ত অভিযোগ বুকের অলিন্দে চেপে —
পৃথিবী সম অভিমান নিয়ে—
সমস্ত পিছুটান পায়ে পিষে —
চলে গেলে নীরবে নিভৃতে।
তসলিমা হাত বাড়িয়ে শরাব দিয়েছিল তোমায় —
নাজমিন দিয়েছিল শরাবের মটকা আমায় —
তৃপ্তি ভরে হ্যায় হরদম পান করি —
মনে হয় স্নিগ্ধ ভোরের সবুজ ঘাসের নির্যাসে তৈরী।
তসলিমা যদি তোমার বুকটা চিঁড়ে দ্যাখতো —
হৃদয়ের ভাঁজে ভাঁজে নিকোটিনের হিমালয় —
তব বুকে মাথা পেতে চোখের জলে —
হয়তো গলিয়ে দিলো হিমালয়।
বন্দীত্বের শেকল ভেঙে —
নিজেকে জ্বালিয়ে ছিলে তুষের মতো
পুড়িয়ে ছিলে ইট ভাটার ইটের মতো
প্রতারণার বিষক্রিয়ায় মুখ থুবড়ে পড়োনি কখনো
একটি সিগারেটের মতো খুব আস্তে আস্তে জ্বলে
একসময় ছাঁই হ’য়ে মিশে গেলে মাটিতে।
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখলে কি তুমি পাবে?
আমি নাহয় তোমাকে আকাশের ঠিকানায় লিখবো
ওপারে ক্যামন আছো জান্তে
কিন্তু জানাতে তো তুমি আমার কোন ঠিকানা পাবে না
আমি ছন্নছাড়া, নীড়হারা, বাঁধনহারার মতো।
তুমি ভালো থেকো পরপারে —
কবিদের সাথে কবিদের আত্মার সম্পর্ক থাকে —
হয়তো খুব শীঘ্রই দ্যাখা হবে ওপারে।
২১/০৬/২০২২ সৌদি আরব