সুভাষের সুবাস
![]()
সুভাষের সুবাস
কলমে- সুব্রত পন্ডিত
সংকলন- শূন্যর শূন্যস্থান (প্রথম খন্ড)
++ –
সুভাষচন্দ্র বসু- নামটির সুবাস, আজ বইছে চারিদিকে।
নেতার নেতা রূপে, দেশবাসী স্মরণ করছেন নেতাজীকে।
মায়ের মুক্তি, স্বাধীনতা সবই আজ পুরানো মলিন ইতিহাস।
মৃত্যু তারিখ নিয়ে হচ্ছে ছেলেখেলা, একি? একি পরিহাস।
কি উপমা পেয়েছো তুমি, কি এমন সাধনা, সাধ ছিলো মনে।
তেইশে জানুয়ারি দেখি, সমাজ, সবাই স্বদেশীর বীজ বুনে।
৭৫ রে ১২৫ কে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ইন্ডিয়া গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে তোমার মূর্তি।
ইতিহাসের বার্তা নয়, পাথেয় হোক তোমার আদর্শ ও কীর্তি।
পরাক্রম দিবসে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন- লালন, উদযাপন শুরু।
পুজিবে তোমায়, বার্তা বইবে তুমিই সমস্ত আন্দোলনের গুরু।
“রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো”- এই আশ্বাস।
সমগ্র ভারতের আপামর জনগন করেছিলো পূর্ণ বিশ্বাস।
ভারত স্বাধীন হওয়ার এটাই হলো, চিরন্তন আসল কাহিনী।
ভাষণ গুলি ছিলো যেনো অমৃতময় বাণী, অজেয় চিরন্তনী।
তোমার নামের সাথে জড়িয়ে আছে বাহিনী আজাদ হিন্দ।
আকাশ বাতাস শ্লোগানে মুখরিত “জয় হিন্দ, জয় হিন্দ”।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিরল কীর্তি, হে গুণীমানী।
কথার ফুলঝুরি, ফাঁকা আওয়াজ ছিলোনা- এটা মোরা জানি।
আজকের নেতাদের কাজে ও কথায়, মুখ লুকাই শরমে।
মাথা তুলে দাঁড়াতে গেলে, তোমার শূন্যতা বুঝি মরমে।
সমাজের দরকারে ফিরে এসো। ক্ষমা করো, হয়োনা অভিমানী।
অন্তরে অমর রবে অমর হয়ে, তোমার ত্যাগের জীবন কাহিনী।
নেতারূপী হায়না গুলো, মুখ দেখুক তোমার নির্মল চরিত্রের আয়নায়।
স্বচ্ছ হোক ভারত, নাগরিকের এইটুকু স্বাভাবিক বায়নায়।
শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাই- মহাত্মার জন্ম ও বিচিত্র করমের।
সদা সত্যের শিখা জ্বলুক দিকেদিকে, এই মন্ত্রটি হোক পরবের।
জানুয়ারির বারো ও তেইশে আগমন দুই মহান বলিস্ঠ নেতার।
দেশের নাম লিখেছে বিশ্বের দরবারে, দিয়েছো বাঁচার অধিকার।
ঘরে ঘরে বেড়ে উঠুক স্বামীজি, নেতাজি। সার্থক জন্মদিন।
রইলো শুভকামনা, হার্দিক প্রণাম। হোক প্রতিদিন গর্বের দিন।
চেতনা ও সিদ্ধান্তের মেলবন্ধন, আছে বিশ্ব পিতার আশীর্বাদ। অঙ্গীকারে বদ্ধ হোলাম- হাসবো সবাই, থাকবো ভালো, সু-প্রভাত।।
![কবিকল্পলতা প্রকাশনী [Kobikolpolota Prokasoni]](https://prokasoni.kobikolpolota.in/wp-content/uploads/2020/08/pro-nw-m-logo.png)