অনন্ত ঋণ
এ কোন বিবর্ণ ঊষা !
বুঝি সব কিছু গিয়েছে থমকে,হারিয়ে গিয়েছে হায় জীবনের দিশা।
আছে নীলাভ আকাশ, বাতাসের রব, আছে রবির কিরণ ,
কিন্তু কোনো অদৃশ্য শক্তি হায় যেন হৃদয়কে করেছে পীড়ন।
এত আলো তবু যেন চৌদিকে তমসারই ঘনঘোর,
মনে হয় আর বুঝি আসবেনা কোন স্বর্ণালী ভোর।
মৃত্যুর মিছিলে আজ সারা পৃথিবী বুঝি হাঁটে একসাথে,
কেবল হাঁটে না হায় একালের যীশু ধরণীর কোন রাজপথে।
কান্নাও বুঝি আজ যায় না শোনা কোন নগরে কি গ্রামে,
গেহগুলি হয়ে গেছে শূন্য যেথা শুধু মৃত্যুরই ঢল নামে।
গ্রাস করে নিল এই মনুষ্যকুল আজ কোনো বিষাক্ত দানবে,
হয়ত রব না কেহ বেঁচে–সৃষ্টি হবে প্রাণ কোন নবীন মানবে।
পৃথিবীতে আদম আর ঈভ–তারা কি আবার আসবে ফিরে,
নতুন জীবন হবে সৃষ্টি কোনো পুরাতনী অস্তিত্বের সংহারে !
হয়ত নবীন মানব বলবে–হেথা ছিল সেই পূর্বপুরুষের দল,
যাদের হৃদয়ে ছিল শুধু বিদ্বেষ,হিংস্রতা আর কপটতা,ছল।
কিন্তু আজকের এই ধরণীতে হায়রে কেবল মৃত্যুরই পদধ্বনি,
মানুষে মানুষে আর নেই কোন রেষারেষি নেই হানাহানি ।
বিশ্বের দরবারে আজ মৃত্যুর করাল ছায়া–ধরেছে কাঁপন,
হায়রে মানবজাতি,কোথা গেল তব সেই দম্ভ আস্ফালন !
হে মোর আপনার জন–হে মোর মিত্র তথা প্রিয়তম সাথী,
আজ এই অসীম ক্লেশে হও সবে একে অন্যের সমব্যথী।
হয়ত আগামীকালই এই ধরণীর বুকে হবে মোর শেষ দিন,
হে বিধাতা,মাগিলাম ক্ষমা তব সনে–রয়ে গেল অনন্ত ঋণ।
—————————————————————- স্বপন চক্রবর্তী।