আমাদের রিলেশন ∆ রুদ্র সুশান্ত
জ্যোৎস্নার প্লাবন তখনো চলছিলো,
বালিকা দূর সমুদ্দুরের তীরে বালিময় বুকে আঁকছিলো এক আনাড়ি কবির ছবি, ফিনিক্স তখনো নীড়ে ফিরেনি,সন্ধ্যা বয়ে রাত গভীর হয়েছে-
পাখিটা খেয়াল করেনি।
বালিকা নৃতাত্ত্বিক মোহে আবৃত রেখেছে ঠোঁট,
সব কোলাহল শেষে কবির নয়নে জোট
বেঁধে মহাসমুদ্রের কলকাতনে লিখে দিবে দ্বিগবিজয়ী প্রণয়ের তত্ত্ব।
তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকে-
একটি কাটি,নিদারুণ হয়ে প্রেমিককে ডাকে।
ফের আসবে প্রেমিক ফুঁ দিবে বুকে, তৃষ্ণা নাভিতে,
উতাল-পাতাল মোহের ঢেউ মিলে যাবে প্রেমের দাবীতে।
আবারো শান্ত হবে বালিকা, কল্লোল যাবে বয়ে,
বালিকারাই প্রেমিকা, জন্মান্তরের ইতিহাস সয়ে।
হেলে গেছে চাঁদ, ঢেউ গেছে থেমে,
এলোমেলো হয়ে বালিকা আজ ভোররাতে ফিরে ঘরে, সূর্য উঠবে এবার- পৃথিবীর সাথে মিলিত হবে কামে।
পাপ হবেনা, না হবে স্নান,
চিত্রাহরিণটা বাচ্চা দিবে নদীর ধারে, গোধূলি যবে ম্লান।
আবারো যাবে বালিকা, করতলে যাবে সমুদ্রস্নানে,
প্রেম আছে, প্রেম আছে? জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।
কতোদূর যাবে ইতিহাস,
তুমি আমি আমরা যতোদিন করবো হৃদয়ে বাস।
বালুঘাট, ঢাকা
০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং