উচ্চাভিলাষী – অসীম চক্রবর্ত্তী
মোহনার নদীতটে যৌবনের নৈসর্গিক
প্রেয় প্রেমী এক তরু যুগল
উভয়ের বোঝাপড়ায় দুজনের বিশ্বাসে
জোড় ছিল অবিচল।
সেখানেই জড়ো ছিল ধরাতলে দুজনার
মিলে দুটো বড়ো জড় (শিকড়)।
ওখানেই বেঁধে ছিল দুজনেই দুজনার
জীবনের সুখী এক ঘর।
দুজনের প্রেম ছিল নিরালয়ে চুপিচুপি
নোনা তটে ঐ জল তলে
জড়িত জড় লয়ে বহুদূর গেছে ওরা
সমানে সমানে ধরাতলে।
এতটাই ছিল মিল ভরে যেতো তরু নীল
ফুলে ফুলে ফলে ফলে
ভরসার ছবি আঁকা দেখা যেতো ফুটে আছে
নোনা ভরা সেই নদী জলে।
দশটি বছর পর জড় হলো জেরবার
প্রত্যয়িত ভ্রান্তি ধারণায়
বিবর্ণ হলো পাতা, ফুল হলো আধ ফোটা
ঝরে গেল ঐ তাড়নায়।
ক্রমেক্রমে একদিন জড়িত দুইয়ের জড়
খুলে গেল সেই গাঁট ছিড়ে
দুপাশেই হেলে গেল অস্থির দুই তরু
মোহনার ঐ নদী তীরে।
ফোটেনা যে এখন ফুল, ছন্নছাড়া দুই মূল
ডাল পাতা আর বায় না
আমিই এক সেই তরু তার যেন অররু
মোর পানে আর চায় না।
থাকি মোরা একই তটে লেগে থাকে নটখটে
জীবনটা মোর বর্ণহীন ফিকে
চেয়ে দেখি দিনরাত অভিমুখ খালি তার
মোহনা নয় ঐ সাগরের দিকে।