কৃষ্ণ-রাধার, এক হয়েছে মন
ভালো লাগে না, কোন কিছুতে,
তোমাকে ছাড়া, সুখ কোন নেই’যে।
কৃষ্ণ, কৃষ্ণ বাজে সবসময়ে,
কাঁকন আওয়াজ, বাজে না আমার কানে।
তুমি’তো জান গিরিধর,
প্রেম, তোমাকে ছাড়া কি’বা,
রাধার সবই’তো তোমার,
তবে কেন এত অবহেলা।
শ্যাম দর্শনে, এ পোড়া মনে,
শিখা জ্বলে, স্নিগ্ধ ভাবে,
তোমায় ছাড়া, বারে, বারে,
শিখা না থাকে, স্থির হয়ে।
মনে হয়’না কি তোমার,
রাধা আছে, কেমন করে?
আমার মত, তোমার দু’চোখ,
জলে কি, ওঠে না ভরে?
পাখির ডাক, স্তিমিত হয়ে আসে,
ঢোকে না গান, আর আমার কানে।
কোথা থেকে, বাঁশির সুর আসে,
চমকে, চমকে উঠি মুখ তুলে।
আমাকে মনে করে আর,
কোন সুর, জাগে না তোমার?
তবে, এ প্রিয়ার, ভালোবাসায়,
কে দিল কোন অভিশাপ।
সোনার মূল্যবান, মনিহার,
যত্নে বাঁধা, কবরী-বন্ধন সাজ,
হাতের কাঁকন আর কর্ণ ভূষন,
সব কিছু বন্ধন মনে হয়।
নাগপাশে যেন জাপটে ধরেছে,
মনের আরাম, গিয়েছে হারিয়ে।
রাধারমন, এসো, এসো কাছে,
মুক্ত করে, নিয়ে যাও আমাকে।
তোমার নাম, মুখে নিলে,
শরীরে, লাবণ্য ঝরে পড়ে।
তোমার মুখ, মনে করলে,
মন, আনন্দে ভরে ওঠে।
রাধা, রাধা, তোমারই রাধা,
ভুলে যাও কি, তুমি বারে, বারে,
তোমার ঐ দেহ ভঙ্গিমা,
আমারই ছায়ায় জড়িয়ে থাকে।
ওগো আমার প্রিয়,
রাধা, আজ এ সংসারে একা।
ওগো পীতাম্বর,
রাধার গর্ব, তোমার ভালোবাসা।
ও’রে কোকিল, যাতো এক্ষুনি উড়ে,
বারে, বারে ডাকিস তার কাছে,
যদি মনে পড়ে, রাধাকে তবে,
তোর সুরেলা কন্ঠখানী শুনে।
আবার কোন, সুর খুঁজে পাবে তুমি,
বাঁশি হাতে, কোন নির্জন কোনে।
সে সুর শুনতে পেলে তখনি,
যাব, আমি যাব তোমার কাছে ছুটে।
বুঝে দ্যাখো মোহন,
তুমি নও, আমি হই পাগল।
ভালোবাসা, শুধু’তো নয়,
তুমি আমার, জীবন মরন।
তাইতো, পারিনা থাকতে অভিমানে,
যত থাকি, তত বাজে মনে।
দুচোখে বৃষ্টি নামলে পরে,
সব অভিমান, যায় চলে ভেসে।
কৃষ্ণ তুমি, কৃষ্ণ নও আমার,
বাস কর, রাধার হৃদয়ে।
মোহন তুমি, মো হন নও আমার,
আমার চুলের কত সাজ হলে।
শ্যাম তুমি, শ্যাম নও আমার,
আলো হলে, রাধার দুচোখে।
কৃষ্ণ-রাধার, এক হয়েছে মন,
রাধার প্রেম, সেখানে খেলা করে।