ছিন্নবীণা!
শেকড় কি?
পাগলের প্রলাপ!
এই উন্মূল সময়ে জেনো সাত্ত্বিকতা মেলা ভার!
যতক্ষণ হোমার বীণা বাজায়,
ততক্ষণই ফুল ফোটে…
আঁকরে ধরে মাটি গাছের শেকড়।
মিশরীয় সভ্যতার জল
পবিত্র মদপাত্রে রেখে
সেই গানে হয় জীবন চঞ্চল!
তাই সক্রেতিসও পাহারায় …
কবিতা আর দর্শন লড়ে মরে
আর দিনের থেকে সময় গড়িয়ে যায়।
এ বৃহৎ মানবজীবন
দেখে লেখে, আর লিখে দেখে
যুক্তির ছন্দ,
দুটোরই শেকড় মনে;
শুধু সময়ের যাঁতাকলে
কোরিওলেনাসের মত বেঁচে থাকা…
না বুঝে হয়তো, তবু নয় সে মন্দ!
যদি স্বাত্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়,
তবে কি এ পড়োভূমে আজ
প্রুফ্রককে খুঁজবে না?
নাকি বলবে শুধু
তার শেকড় গিয়েছে ছিঁড়ে…
যত পাগলের প্রলাপ!
নাকি হোমারের মত থাকবে অন্ধ হয়ে
আর শুধু গাইবে গান!