তুমি কি সেই মেঘবালিকা
আমি যখন ছোট ছিলাম, ঘুমের ঘোরে বেরিয়ে যেতাম মেঘের দেশে।
সেথায় কতশত মেঘ উড়ে বেড়ায়!
তাদের মাঝেই প্রথম দেখলাম তাকে
খিলখিলিয়ে হাসছিল সে ..
আমি বললাম.. এই মেঘ নাম কী রে তোর!
মেঘবালিকা ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো.. নাম দিয়ে কী করবি..?
আমি বললাম.. লিখবো কিছু,যা মনে আসে।
সে বলল.. সবাই বলে মিছিমিছি, কেউ লেখেনি কক্ষনোই!
গল্প শুনে হাসে শুধু , আমার কথা মনে রাখে না তো!
আমি বললাম.. লিখবো রে মেঘ, তোকে নিয়ে লিখবো আমি কয়েক পাতা।
মেঘবালিকা মুখ বাঁকিয়ে বললো.. লিখবি তো সেই ছাইয়ের মাথা। ওসব আমি বুঝিনা।
আমি বললাম.. তুই যা চাইবি তাই লিখবো রে মেঘ ।
মেঘ হেসে উঠলো.. সত্যি বলছিস, ভুলে যাবি না তো!
লিখবি তবে আমার কথা, আমার স্বপ্ন , আমার ব্যাথা । লিখবি কিন্তু , ভুলে যাসনে।
মিলিয়ে এল মেঘের সুর..
ধীরে… ধীরে..
কয়েক পাতা লিখতে গিয়ে দেখি! সেকি ..
কিছু হয়নি লেখা, সবই ফাঁকা।
কী লিখবো তাই মনে নেই, কী ছিল সেই মেঘের ভাষা।
হঠাৎ করে নদীর ধারে দেখলাম,সেদিন পূর্নিমা।
সাদা চাদর জড়িয়ে তুমি হেটে গেলে সামনে দিয়ে
আমি বুঝলাম এই তো সে যাকে নিয়ে লেখার কথা
তুমি কি সেই মেঘবালিকা!
তাই তো হবে ! তাই তো হবে..
তোমায় নিয়ে লেখার কথা কয়েক পাতা,
নতুন করে লিখতে বসলাম, লিখতে লিখতে লিখেই গেলাম।
সব শেষে দেখি শেষ হয়ে গেছে জীবনের খাতা
কিন্তু কই তোমার দেখা তো পেলাম না।
এ লেখা আমি কাকে দেখাবো।
কোথায় তুমি মেঘবালিকা, কোথায়..
সেদিন স্বপ্নে বিভোর আমি, পৌঁছে গেলাম মেঘের দেশে
কিন্তু সেথায় মেঘ উড়ে না, সব গেছে বৃষ্টি হয়ে
আমি বললাম.. সেকি!
নতুন একটা মেঘ বলল..কী হয়েছে ,
আমি তাকে শুধালাম .. কোথায় আমার মেঘবালিকা?
সে বলল.. পাগল নাকি! সবাই এখন বৃষ্টি রুপে ।
কেউ নেই আর মেঘের দলে।
আমি বললাম.. তার জন্য যে লিখলাম আমি সারাজীবন..
সে বলল.. ওসব ছুঁড়ে ফেলে দেও নদীর জলে।
মন ভাঙলো সেদিন আমার! বৃষ্টি এল দুচোখ বেয়ে
মেঘ বলল.. কাঁদছো কেন! আবার লেখো নতুন করে।
কদিন পরেই বৃষ্টি থামবে তখন তুমি দেখা পাবে..
হাসি মুখে আমি লিখতে বসলাম নতুন করে।
লিখেই গেলাম, লিখেই গেলাম..
এ লেখার যেন শেষ নেই।
শেষ জীবনে শেষ লেখা আজ
তোমার জন্য মেঘবালিকা..
#মন_সায়েরে_পারে
#সুমিত_দরানী