তোমার ওই নির্জন দ্বীপে,
বহুকাল আগে বসতি গড়েছিলাম!
প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে-
তোমার প্রেমে বিভোর ঘুমে আছন্ন,
এক নাবিক এসেছিলো!
অজ্ঞাতে-অজান্তে-নিরবে নিভৃতে,
এই স্তব্ধ নগরে!
শান্ত নীল জলরাশির ঢেউয়ের তালে ভেসে!
বেঁচে থাকার শেষ ভরসা নিয়ে,
এসেছিলাম তোমার এই গহীন অরণ্যে!
শুধু একটি বার একটি বার –
তোমার ওই স্বর্গীয় কণ্ঠে,
ভালোবাসি এই অমর বাণী শুনবো বলে!
কত বসন্তের ফুল, কত শরতের শিশির –
ঝরে গেছে এই বুনো পথে,
অবহেলায় অনাদরে–
ভেসে গেছে এই সমুদ্রের জলে!
নিজের অজান্তে–
একটি বারও তাকিয়ে দেখনি !
অথচ তোমার এই বনের –
সবুজ কেওরা- গেওয়া – বলগা হরিণেরা,
অনুভব করেছিলো,
সহস্র অবাঞ্ছিত ফুলের শুপ্ত সৌরভ!
মিশে একাকার এই জলে এই ঢেউয়ে!
তোমার সুপ্রশস্থ হৃদয়ের গভীর সমুদ্রের,
বিশাল ঢেউয়ের গর্জনের মাঝে,
এক অবুঝ ডুবচরের শ্বাশত প্রেমের
কল্পনার ইতিহাস নিহিত!
মিশে আছে এই নির্জন দ্বীপের,
বাতাসে- সবুজ বৃক্ষের, শাখা প্রশাখায়,
পাতা পল্লবে, ভেজা বালির সুক্ষ্ম কোনে!
আমার এই  মন ভেসে গেছে সেই কবে,
স্বপ্না নামের এক মহামানবী’র
অদেখা মহাসমুদ্রের গভীরে!
থই থই জলের সাথে মিশে গেছে,
অনুভূতির অতৃপ্ত ভেলা!
কোন এক গ্রীষ্মের মধ্য নিশীথের অন্ধকারে!
ভেসে চলেছে  অনাদিকাল–