ফিরিয়ে দাও নির্মল প্রাণ
হাজার ক্রোশ দূর থেকে যখন শুনি
প্রিয় শিক্ষাগুরু মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন
জয়ী হওয়ার প্রচেষ্টায় মৃত্যুর মুখোমুখি বসে
যমদূত আজরাইলের সঙ্গে দাবা খেলছেন
চৈত্রের খরতাপের মতো হৃদয় চৌচির হ’য়ে যায়।
হুজুর স্যারের বাড়ির পাতিলের ভাত আমি যেমন
অনেক খেয়েছি, আমার ভাইও খেয়েছে –
ঘুমিয়েছে এবং ঘুমিয়েছি বহুরাত
হে দয়াময়, তোমার দরবারে উঠিয়েছি দু’হাত
জীবনের বিনিময়ে জীবন যদি করো দান
নিয়ে যাও এই নিষ্কর্মা অধমের প্রাণ
সুস্থতা দাও, রোগমুক্তি দাও, ফিরিয়ে দাও নির্মল প্রাণ।
তুমি সব পারো –
শূন্য থেকে সৃষ্টি করেছো জগৎ
মৃত্তিকা হতে মানব সৃষ্টি করে দিয়েছো উৎকৃষ্ট মগজ।
তোমার নিয়মে সূর্য উদিত হ’য়ে আলোকিত করে পৃথিবী
আবার তোমার নিয়মে অস্তমিত হ’য়ে নেমে আসে অন্ধকার রাত্রি
তুমি মহাপরাক্রমশালী –
তোমার ইচ্ছায় আরোগ্য হয় মৃত্যুর পথযাত্রী।
যাদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছি জীবন
হজম করতে পারছিনা বাঁচার এমন রোদন
করো আমার এ জীবন হনন
শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে দাও শিক্ষা গুরুর চরণ।
আবার মুখে ফোটে উঠুক মৃদু হাসি
পদধ্বনিতে মুখরিত হোক শিক্ষাঙ্গন
কেটে যাক ঘোর আঁধার –
ঝলসে উঠুক আলো, দূর যেন হয় আঁধার কালো।
আরশে বসে খেলছো খেলা
দুনিয়ায় বসিয়ে রঙবেরঙের আদমের মেলা
কেউ হতে চায় সেরা, কেউবা থাকে প্যারা
বহুত কিসিমের আদমে দুনিয়া ঘেরা।
আমি আছি আমড়া কাঠের ঢেঁকি সেজে
পৃথিবীর কিচ্ছু হবেনা আমি থেকে
খঞ্জর চালিয়ে দাও আমার বুকে
হাসি ফুটিয়ে দাও গুরুর মুখে।
৩১/০৭/২০২২ সৌদি আরব