বঙ্গবন্ধু
তুমি বন্হি তুমি ঝঞ্জা তুমি সব হারানোর ওঙ্কার
সিমান্তের পাশে দন্ডায়মান সৈনিকের শেষ বাঙ্কার।
তুমি সর্ব তুমি গর্ব তুমি দেবতার ন্যয় কর্মঠ
আকাশ-গঙ্গার মত গড়ে তোলো তুমি ৫৪’র মহাজোট।
জনসমূদ্রের পারে দিকদর্শী এক উঁচিয়ে থাকা তর্জনী
অন্ধকার তীরে দাড়িয়ে থাকা তুমি পিলসুজ বর্তনী।
এক বার নয় দুই বার নয় পড়ে ফেলা হাজারবার
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখা সেই ৬ দফা ইশতেহার।
দূর্ভেদ্য যে দূঃসাহস সাগর ডিঙিয়ে যাবার
জেলখানার ঐ দেয়াল ভাঙা ৬৯ এর গণজোয়ার।
উড়ন্ত বকের শরীরে জড়ানো গাঁঢ় বর্ণের কোট
কম্পমান এই বাংলার বুকে সত্তরের গন ভোট।
চারমিনার হাতে নিস্কম্প এক মহান হিমালয়
কয়াদী হয়েও শোষকের বুকে কাঁপন ধরানো সংশয়।
৭ই মার্চের সিঙ্গায় তুমি প্রলয়ঙ্কারী ফুৎকার
সবুজের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়া লোহিত বর্ণ পতাকার।
বর্জ্র তোমার কন্ঠ ছিনিয়ে আনে মুক্তি
উচ্চারিত প্রতি বাক্য যেন প্রস্তর খন্ড যুক্তি।
শ্লোগান নয় হুংকার নয় হে হেমিওলনের গীতিকার
গেঁথে গেছে কোটি অন্তরে প্রতি চরণ সে কবিতার।
পাকিস্তানি লাখো সৈন্যের ঐ পাঁজরে জমানো আতংক
সহস্রাব্দের ইতিহাস পাতায় মিলে যওয়া এক অংক।
অনড় ঐ অজর শুধু তোমার নির্দেশ
ত্রিশ লক্ষ শহীদ গড়ে অমর বাংলাদেশ।
মুজিব তুমি সঞ্জীব তুমি ভুখা নাঙার বঙ্গবন্ধু
১৫ আগষ্ট খুঁড়ে ফেলা এই বাঙ্গালীর বিষাদসিন্ধু।
তুমি অব্যয় তুমি অক্ষয় তুমি ব্রাত্যজনের ঈশ্বর
ভূখন্ডের বুকে এঁকে ফেলা এক মানচিত্র চির ভাস্বর।