যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে – অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
জীবনের সকল না পূরণ হওয়া আশার আক্ষেপ- হাওয়ায় মিশে যেত এই একটি আশা মিটলে।
থাকত গোটা বিশ্ব পিছনে পড়ে,
আমি শুধু দেখতাম পাগলের মতো
পাহাড় আর পাহাড় দু’চোখ ভরে।
ভুলে যেতাম সবকিছু, নিজেকেও-
থাকতাম পাহাড়ের প্রেমে মজে,
তখন হত একটাই নাম হৃদয় জুড়ে।
ছোট্ট শিশুর মতো আনন্দে লাফালাফি করতাম, দিনরাত ধরে।
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
সবকাজ ফেলে কাজ হত একটাই-
প্রকৃতির কবিতা রচনা করা।
খাওয়া দাওয়া ভুলে যেতাম,
পাহাড়ের কথা চিন্তা করে দিনরাত ডুবে থাকতাম।
দিনের শুরুতে আর শেষে,
প্রণাম করতাম পাহাড়কে মাথা নত করে।
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
মেঘের সাথে ভালো বন্ধু জমাতাম।
ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাতাম ঝর্ণার পাশে বসে।
হাজারো গাছে বাস করা,
লক্ষাধিক পাখির কলতান শুনে-
ভরতো এ পিয়াসী দেহ প্রাণ।
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
আমার চিন্তা কল্পনা থেকে বিদায় জানাতাম নারীকে।
আমি হতাম খুব স্বার্থপর,
ভালোবাসতাম শুধু পাহাড়কেই।
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
ভাব জমাতাম কত নাম না জানা পশুপাখির সাথে,
গল্প করতাম সময়ের না হিসেব করে।
নদীর জলে পা ডুবিয়ে-
মেঘ রোদের খেলা দেখতাম।
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
ভুলে যেতাম জীবনে কী পেয়েছি কী হারিয়েছি,
ভুলে যেতাম দুঃখ কষ্ট বেদনা,
ভরে থাকতাম শুধু আনন্দে।
যদি ঘর হত পাহাড়ের দেশে,
একটা ছোট্ট মন্দির গড়তাম পাহাড় চূড়ায়।
নিত্য করতাম পূজা দেবতাকে বনের ফুল দিয়ে।
কেঁদে কেঁদে বলতাম তাঁকে-
এ দেশেই যেন মরণ হয়,
পরে যদি জন্ম হয়,হয় যেন এই দেশেতেই।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৬মে,২০২৩,বেলা ১১টা, বারুইপুর