শুভেচ্ছা তোকে !
আজকাল গোটা কিছু নেই, গোটা কবিতাও দেখিনা, জানিস শুভেচ্ছা, সবই খণ্ডিত, দ্বি-খণ্ডিত !
আজকাল কবিতার মধ্যে বড্ডো মুরগির পা, খামচানো লালসা আর সোনালী গেলাসের উগ্র গন্ধ,
বত্রিশ থেকে বেয়াল্লিশ ঘাঁটা লম্পটের বেওয়ারিশ ভালোবাসা চোখ মারে, অনর্থক শিল্পের মুখোশে,
রেয়াজি খাসির চর্বির চর্বিতচর্বন, কফি কাপ, ঝোলা ঠোঁট, নখ-দন্তহীন বৃদ্ধ নেকড়ের লালসাকে পোষে !
পায়ের মধ্যে পোষা লোভী বৃদ্ধ শেয়াল বেড়া ভেঙে কবে কি খেয়েছিলো, কলমে তারই উঁকিঝুঁকি,
হে ঈশ্বর, এতো নষ্ট কবি কবে মোলো, কবির লাশের পচা গন্ধ দামি পারফিউমে ঢাকে কি ?
আজকাল দেখি, তোর কবিতায় ভালোবাসা মরে হিম ঘরে লাশ হয়ে থাকে, শুভেচ্ছা !
চুপচুপ ডুব দেয় খিড়কি পুকুরে তোর সেই আগুনরঙা অভিমান, রাগ লজ্জা !
সব কি রকম ঠান্ডা মেঝেতে কাঠ হয়ে শুয়ে থাকে, ভালোবাসা, উষ্ণ সুখ, কথা,
শব্দের ব্যঞ্জনে, নুন নেই, আনমনা জল ঢেলে পাতে উঠে গেছে যেন কেউ, আধপেটা,
এইসব নিয়ে শুভেচ্ছা, অভিনন্দা, কখন জানিনা, মনে হয়, কে যেন প্রেমকে,
ভীষণ ঝড়ের রাতে, নৌকায় তুলে দিয়ে ভুলে গেছে কখন ভীষণ দুর্বিপাকে,
ঘর ছাড়া ঝোড়ো পাখী দুর্যোগে হারালে, কে তাকে কোথায় মনে রাখে !
অভিনন্দা, তোর চঞ্চল খঞ্জনা দুটি কি ক্লান্ত, প্রেম খুঁজে, পুরোনো পুরবে তাকিয়ে চোখ বুজে,
অনেক আকাশ ঘুরে ঘুরে হয়তো বা আলসে খোঁজে দু দন্ড, নষ্ট সময়ের সাথে যুঝে ?
সন্ধ্যের আকাশে দেখি একা এক একলা বৈশাখ, যেন কালবোশেখী কোনো, ভুলেছে ঈশান
নিঝুম পর্বতে, আজকাল বড্ড নৈঃশব্দ, রুদ্রহীন ভালোবাসা নিরুদ্দেশ, অন্ধ অভিমান,
আজকাল উপত্যকা জুড়ে মৌন মূক নদীচর, খাঁখাঁ করে সামিয়ানা, অভিনন্দা, শুভেচ্ছা পাগলী !
ঢাকা কোলকাতা জুড়ে শুধু হিংস্র বৃষ্টি, অনাসৃষ্টি, ও অভিমানিনী, কবিতার খাতাখানি কোথায় হারালি ?