সুখের হদিশ
এক গাঁয়ে এক লোকের ছেলে পড়াশোনার বেশ ভালো,
দেখতে শুনতে বেশ ঠিকঠাক, কিন্তু একটু অগোছালো।
পড়াশুনা তার ভালোই লাগে, তবে জোরাজুরি তে হয়না,
হোক না সেটা ভালোর জন্যই, সে যেনো ‘সে’ রয় না।
ছেলের কাছে বাপের আর্জি, বেশ চওড়া করে বুক,
“চাকরি তোকে পেতেই হবে, যাতে কিনতে পারিস সুখ”,
ছেলে তেমনি বাবাবাধ্য, বেরিয়ে পড়লো সুখের খোঁজে,
চাকরি ছাড়া সুখ পাবে না, এমন চিন্তা মনের মাঝে,
এমনি করেই চাকরি হল, তবু সুখ খুঁজে সে পায়না,
সুখের আশায় করলো বিয়ে, তাতেও দেখে নানা বায়না,
চাকরি পেয়েও সুখ পায়না, বাবার কাছে করলো নালিশ,
চাকরিতে যদি সুখ কেনা যায়, তবে চাকরি তে কই সুখের হদিশ,
এমনি করেই দিন হতো পার, জীবন নিয়ে বিশাল দ্বিধা,
এমনি তো সবই ঠিকঠাক, ব্যস তৃপ্তি-তেই তো অসুবিধা!
চাকরি থেকে বিদায় নিলো, নতুন করে সুখের খোঁজে,
বাবার মেশিন আর হবে না, এখন থেকে সে মানুষ সাজে।
একটু করে বুঝতে পারে, সুখ যেনো তার স্বাধীনতায়,
জীবন যখন নিজের মতোন, তখনই সে আনন্দ পায়।
তার জীবনে একটাই ভুল, সেখানেই সে অর্থহারা,
বাবার প্রতি অতি বাধ্যতা, আর মনের কথা না বলতে পারা।
সবার কাছে সুখের সংজ্ঞা, আলাদা আলাদা হয়,
কারোর কাছে চাকরিতেই সুখ, আবার কারোর কাছে নয়।