হাল্লা রাজার দেশে
আমি কাঁদতে পারি না। আমার
ডাগর চোখে জল, করে টলমল।
আমার শুষ্ক ঠোঁটে কষ্টের হাসি পায়
ফেটে আসে রক্তলাল নোনা জল।
উসখুস কেঁপে উঠে ব্যথার অধর
জুটেনা উপসম ভেসিলিন আদর।
কাঁদতে পারি না কাঁদাতে পারি
কষ্ট করে কেষ্ট হাসির ডালি খুলে।
আমি হাল্লা দেশের বাসিন্দা
জানিনা আমি মৃত নাকি জিন্দা।
সময় অসময়ে হাসতে পারি হা-হা
হাসতে পারি, আমি হাসাতেও পারি
তবে হা-হা’র ভিতর লুকানো হাহাকার
গহীনে অন্ধকার, বীভৎস কদাকার।
এদেশে আম জনতার চোখে অন্ধকার
বুকের ভিতর ফুসে উঠে দুঃখ পারাবার।
বুক দিয়ে ঠেশে ডিঙাতে পারেনা
দুর্দানবের তোপে দাগা বাধার পাহাড়।
আমি হাল্লা দেশের বাসিন্দা
জানিনা আমি মৃত নাকি জিন্দা।
আমার জিহ্বা শৃঙ্খলিত নয়,
আমার চক্ষু সঙ্কুচিত নয়
আমার কণ্ঠ রুদ্ধ নয়,
আমার মনন, আমার মেধা
আমার বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা
কারো কাছে বন্ধকী রাখিনি।
তবুও বলতে পারিনা কোন কিছু,
বলতে গেলেই শকুনের দল
তেড়ে আসে পিছু পিছু;
বনে যাই লাশ!
এ যেন মানুষের সাথে
হায়েনার বসবাস।
আমি হাল্লা দেশের বাসিন্দা
জানিনা আমি মৃত নাকি জিন্দা।