হিয়ার ভস্ম – অসীম চক্রবর্ত্তী
তমালিকা অপলক, দেখিগো বিভোরে ,পলকে তুমিগো এলে
হাড়ের মজ্জা ,নড়েই ওঠে, যেই তুমি চলে গেলে
ধমনী শিরার ,শোনিত স্রোতে, উত্তাল দেহ কোষ
রোমকূপে শিহরণ, উচ্ছল মনে, হিয়ায় পরিতোষ ।
চলে গেলে, মোর ভাঙা কূল, আবার আকুলে চাহে
হোক না সে ক্ষত, চড়ে চারিত, তোমারই ঢেউ বাহে
প্রণয়েরই ঢেউ, আছড়ে পড়ে, ভাঙ্গা ক্ষত মোর তটে
ক্ষত বালুচর, ভাঙা তট মোর, পড়ে যায় সঙ্কটে ।
বারবার ভাবি, ঊর্মিরে বাঁধি, রাখি জীবনের বালুচরে
তটের অঙ্গে, জলতরঙ্গে, ভেসে থাক চিরতরে
অবিদিত ভীতি, লহরের স্ফীতি, আছড়ায় বারেবারে
ভয়শীল তটে, শিহরণ ঘটে, মনের চরাচরে ।
সহসা এলে, ঘূর্ণিত ঢেউ, তুফানের সাথে পাশে
ক্ষয়িত চড়া, তোড়ে দিশেহারা, তোমারে ভালবেসে
দগদগে সাজে, কেশরাশি মাঝে, সিঁদুর সিঁথির ছাঁচে
পুড়ে যে খাক, হিয়া নির্বাক, সিঁদুরের অতি আঁচে ।
রচিল হঠাৎ, ভাবে ব্যবধান, শরীরও টলোমলো
ধমনী শিরায়, প্রলয় ঘটিল, নিভিয়ে হিয়ায় আলো
তুমি ঢেউ সরে, আমি তট মরে, আপন ভাঙ্গা কূলে
আশাহীন কিরণে, প্রেমের দহনে, হিয়ায় ভস্ম জ্বলে ।।