২২শে শ্রাবন
“ছোট খোকা বলে অ আ
শেখেনি সে কথা কওয়া,”
আমার মুখে প্রথম ছড়া;
আমার হাতে প্রথম সহজ পাঠ;
আমার হাতে প্রথম রবীন্দ্রনাথ ।
“আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মৌ-“
আবারও রবিঠাকুর ।
আমার হাতে,
“কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি
বোঝাই করা কলসি হাড়ি;”
আজও মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে
বক্সিগঞ্জের পদ্মা পাড়ের হাট;
তাও রবিঠাকুর ।
“মাগো আমায় ছুটি দিতে বল
সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা”
কিম্বা, অমল ও দইওয়ালা
“দই দই ভালো দই”
তাও রবিঠাকুর ।
প্রতিটা পদে প্রতিটা ধাপে
তোমাকে পেয়েছি।
তোমাকে অঙ্গাঙ্গিভাবে
জড়িয়ে বড়ো হয়েছি।
গোরা, নৌকাডুবি, চোখের বালি, শেষের কবিতা…
যত পড়েছি ততই জীবনকে নতুন রূপে দেখেছি ।
“মম চিত্তে নিতি নিত্যে..”,
“পুরানো সেই দিনের কথা..”
বা, “বড় আশা করে এসেছিগো কাছে ডেকে লও..”
কিম্বা, “ভালোবাসি ভালোবাসি…”
আমাদের মন প্রাণ ভরিয়ে দিয়েছো,
দু হাত ভরে দিয়েছো,
একটা জাতিকে তুমি সর্ব দিক থেকে
সমৃদ্ধ করেছো ।
কবিগুরু, আমারা তোমাকে পেয়ে ধন্য ।
কবি তোমার কখনও মৃত্যু হতে পারে না,
তাই তোমার ভাষায় তোমাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য
“নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে “ ।