নিভৃতে
নিভৃতে
********
তোমাকে জল ভেবে নিলেই
আকাশটা নদী হয়ে রিমঝিম রিমঝিম করে ঝরতে থাকে সারাক্ষণ।
আমি পেছন ফিরে দৌড়াতে শুরু করি,
তিরিশ, পঁচিশ, কুড়ির দরজা পেরিয়ে —–
ষোল, পনের’র পুরোনো বারান্দার দিকে।
একগাদা আলপিন বিঁধে যায় শরীরে,
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গাছের মতো জ্বলে ওঠে আপাদমস্তক।
ধোঁয়ারেখাতে আঁকা হয় ফিকে ফিকে জলদাগ।
পথিকৃৎ মন, হাত ধরে টানতে থাকে,
বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মেঘমল্লারের সুর,
বালিশের নরম কোলে তোমার ঘাড়ের সোঁদা গন্ধটা
আড়মোড়া ভাঙে।
তোমায় জল ভেবে নিই মাঝেমাঝেই।
আকাশের নদীময়তায় তোমার কুঁড়িফোটার দৃশ্য খুঁজি।
ভিজতে থাকি, জ্বলতে থাকি,
মনের পেছন ধরে ছুটতে থাকি।
যদিও, আমি ঠিক বুঝতে পারি,
বিছানায় যে দেহটা একটু আগেও ছটফট করছিল
সেটা আমারই অতীত।
আমার বর্তমানটা নিভে যাওয়া দিনের অন্ধ গলিতে
নিজেকে খুঁজতে থাকে তখন,
কখনও পনের’র বারান্দায়,
কখনো ষোল’র ব্যালকনিতে ——-
আলোক মিশ্র।