প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍

Loading

দুঃখগুলো আজকে ভীষণ কাঁটার মতো বিঁধছে,
অন্ধকারেও মনটা আমার রঙিন ছবি আঁকছে,
ভুলেই ছিলাম বেশ বহুকাল, ক্যানভাসটা খালি টানছে,
রঙের খেলা সাঙ্গ করেছি সেই কবে, তবু কালোটা কেবল হাঁকছে,
নিত্য শুধু রাতটা আমার তমসা দিয়েই ঢাকছে,
চাঁদ দেখিনি কতটা কাল সে কি ওরা বুঝবে?
ওরা শুধু ফন্দি আঁটে ছবির সেটেই গুঁজবে,
আমি ত আর রঙ ঘাটি না, কেমনে ছবি আঁকবো, তবে
সেইই কবে, এঁকেছিলাম, জলরঙে একখানা ছবি।
রঙগুলো মোর সঙ্গী ছিল, ইশারাতেই নাচতো,
এদিক সেদিক নেচে গেয়ে মনের ছবি আঁকতো,
ছবি ত নয় একেবারে জীবন্ত!
কেমন তাকিয়ে থাকে দেখ, মা বলেছিল।
ছবির ও আবার জীবন হয় নাকি, এই ত কালই স্টোর রুমে ধুলোমাখা দেখলাম,
ময়লা শীটগুলো জীর্ণ হয়ে পড়েছে,
মা যদি দেখতেন, নিশ্চয় পূর্বের কথা ফিরিয়ে নিতেন।
সময়ের সাথে অনেককিছুই তো জীর্ণ হয়ে পড়ে,
তাই বলে অমনি ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে, গুমোট স্টোর রুমে?
হয়ত এমনি করেই সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়।
ওরাও যদি মানুষের মতো হতো, তবে ওমন দশা হত না আজ,
মায়ের কথা যদি আসলেই সত্যি হত, যদি ওরাও জীবন্ত হত,
মানুষের মত লুকিয়ে রাখতে পারতো, বেশ অভিনয় করত।
কিছু জিনিস বোধহয় লুকিয়ে রাখাই ভালো,
নইলে আজ ওমনটা ওর হত?
তবে এককালে বেশ প্রশংসা কুড়োতো,
করিম চাচা তো নিত্যই বলতেন, বেশ খাসা বানিয়েছো বাছা,
বৈঠকখানার বিশেষ স্থানটিতেও খানিক কাল ঠাই পেয়েছিল,
বাবা বলতেন, এককালে দেখিস, ছবিখানা আমাদের জন্য গৌরব বয়ে আনবে,
দাদিমা আমার মোটা ফ্রেমের চশমা উঁচিয়ে বলতেন,
ছবিখানার মধ্যে আশ্চর্য কিছু একটা আছে দাদুভাই,
তোর দাদা যদি একটিবার দেখতে পেত রে,
দাদিমা আর নেই, ছবি খানার পাশের ঘুরঘুর করত বিড়ালছানাটিও আর নেই,
অমবস্যার অন্ধকারে এককোণে পড়ে রয়েছি,
আমি আর আমার ছবির সেট।

0

Publication author

0
কবিতা পড়তে অদ্ভুত রকমের ভালো লাগা কাজ করে। পড়তে ভালো লাগা থেকে টুকটাক কবিতা লেখা হয়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তি শুনে আবৃত্তির প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ অনুভব করেছিলাম একসময়, উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা এই ভালো লাগা আমায় আবৃত্তি করতে প্ররোচিত করে চলেছে।
Comments: 0Publics: 4Registration: 21-04-2022
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

আপনি কি গল্প পড়তে ও লিখতে ভালোবাসেন? তবে বাংলা গল্প এবং অডিও স্টোরি প্রকাশ করার জন্য আজ‌ই যুক্ত হন আমাদের নতুন গল্পের সাইটে