আত্মার আত্মহনন ঘটিয়ে
আমি দ্যাখেছি রাস্তার পাশে ঝরে পড়ে থাকা ফুলের মতো হাজারো মানুষের স্বপ্ন ঝরে যেতে
ঝর্ণাধারার মতো প্রবাহিত হতে চোখের জল।
সবাই চায় আকাশের তাঁরার মতো নিজেকে মেলে ধরতে, জ্বলে উঠতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো
অনেকে জ্বলতে গিয়ে ঝরে যায় ধুমকেতুর মতো
যতো দুঃখ আছে সবগুলো বুকে চাপা দিয়ে পথ চলে।
ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্র গুলো বিদেশের নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে ওখানেই ভালো পজিশনে চাকুরি পেয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন।
দ্বিতীয় সারির ছাত্র গুলো দেশের পড়াশোনা শেষ করে একটি সরকারি চাকুরির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বয়স যখন শেষ হ’য়ে যায় কোনরকম ডালভাতে একটি বেসরকারি চাকুরি জোগাড় করে নেয়।
আর তৃতীয় সারির ছাত্র গুলো রাজনীতিতে জড়িয়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিংবা সরকারের যেকোনো একটি সেক্টরে চাকরি জোগাড় করে আরাম আয়েশে দিন কাটাতে থাকেন।
ঝরে পড়া ছাত্র গুলো কামলা দিতে আমার মতো প্রবাসে এসে তপ্ত রোদে পুড়ে রাখালি করে, ইটভাঙে, বলদিয়ার কাজ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে চায়।
অনেকে আবার ঝরে যায় বৈশাখীর ঝড়ে
মনের ভিতরে ব্যর্থতার ক্লেশ বসতি গড়ে
ঝরে যায় ধুমকেতুর মতো, পড়ে থাকে মুখ থুবড়ে
সহানুভূতি দেখায়না কেউ মানবতার হাত বাড়িয়ে।
কেউকেউ বেকারত্বের গ্লানি টানতে টানতে জীবনের প্রতি অনীহা চলে এলে ঝরে যাওয়া স্বপ্নগুলোর কথা একটি চিরকুটে লিখে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন আত্মার আত্মহনন ঘটিয়ে।