~বছর চারেক পর~ ( Male version)
আবারও দেখা হল বছর চারেক পর।
আমিও আজ অন্য কারোর বর, অন্য কারোর ঘর।
আজ পড়েছিস বেরঙা একটা শাড়ি
খোঁপা বেধেছিস চুলে
বিপদ পাড়াতেই আবার হলাম মুখোমুখি।
ভিড়ের মাঝেই একাকীত্বের খোঁজে ব্যাস্ত তুই।
এখনও চোখে চশমা পরিস।
বিয়ে করিস নিই আজও…
আজও নাচিস কান ভাঙ্গানো সকল সখীর কথায়?
ভাবিস আমায়.. রগচটা এক ছেলে?
বন্ধু ভেবেই নতুন করে টানবি কাছে আবার?
নাকি আগের মতই দিবি দূরে ঠেলে।
আজও কি তুই তেমন অভিমানী?
নাকি বদলে গেছিস পরিস্থিতির চাপে।
আচ্ছা, আজও কি তুই বৃষ্টি দেখিস তেমন,
মুখ ভরিয়ে জলের ফোঁটার ঝাঁপে?
জানিস, তোর মতনই সেও ভীষণ ভালো।
তোরই মতন আগলে রাখতে পারে।
তবু কেন সকল দিনের শেষে,
শুধু আমার তোকেই মনে পরে?
ভাবছিস না? নেভি ব্লু-টা ছাড়াও তো শার্ট পরছি,
বউয়ের কথা মানছি তবে। তাই না?
অমন সরল হইনি আজও আমি?
শুধু কাউকে আবার কষ্ট দিতে চাই না।
আজও আমি আগের মতই উস্কখুস্ক পাগল।
আজও তোরই প্রিয় আতর মাখি।
আজও আছি ওয়েব সিরিজের ঢেউতে আমি ডুবে,
শুধু তফাৎ এখন বাংলা ছবিও দেখি।
পড়াশোনায় এখনও কি ভালো?
আজও আছে শান্ত স্বভাব খানি?
আজও কি তুই ভাবিস আমার কথা?
জিজ্ঞেস করলেই না বলবি জানি।
ফুটবলে আজ হাত পা কাটা অতীত।
অতীত আজকে ঘুম পাড়ানি ছড়া
ভাবছি ছুটে জাপটে ধরব তোকে,
পাছে বাঁধা হয়েছে একখানি গাঁটছড়া।
হালকা একটা তন্দ্রা যখন আসে।
ভাবি মাথায় কেমন হাত বুলিয়ে দিতিস।
ঘুমের মাঝেই কানের নরম কামড়ে ধরে আবার,
ইচ্ছে করেই তুই জাগিয়ে দিতিস।
পড়লে মনে সেই সব দিনগুলো,
আমার ছবি একবারও কি দেখিস?
ভাবিস কভু যন্ত্রণাদের করব আবার আপন
নাকি সারাটাক্ষণ যন্ত্রণাদের সাথেই বসে থাকিস?
নতুনও যে তোরই মতন বৃষ্টি ভালবাসে?
তোরই মতন ভিজতে ডাকে সেও?
তবু যাই না আমি হাজার ডাকে তার
ভাবি বলবে হঠাৎ মুছতে মাথা কেউ।
সেও জানে জ্বরের থেকে সারিয়ে আমায় তুলতে।
সেও জানে কপাল টিপে দিতে।
মাঝেই অমন জাপটে ধরে সে-ও।
শুধু ঝাঁপায় না সে হঠাৎ অতর্কিতে?
কাবাব খাওয়ার সাধ মিটেছে আজ?
মাংস খেকো নামটা আজকে বেকার।
আজও কি তুই এটাই ভেবে বসে?
যে সব দোষটাই ছিল আমার একার।
চোখের নিচে কালি জমে কেন?
আজও কি তোর ঘুম আসে না রাতে।
নূপুর পড়ার সখ করেছিস প্রাচীন,
তবে আমার দেওয়া কাঁকন কেন হাতে?
হাতের চেইনটা হারিয়ে গেছে আগেই।
দাগ লেগেছে নেভি ব্লু সেই জামায়।
যদি নতুনও যায় তোরই মতন ছেড়ে।
সেই চিন্তাই খাচ্ছে কুরে আমায়।
সেও জানিস তোরই মতন পাগলী একটা মেয়ে?
চশমা পড়ে? কথায় কথায় কাঁদে?
তোরই মতন কষ্ট পেলে সেও
খুব গোপনে জায়গা খোঁজে ছাদে?
হালকা জেদী তোরই মতন সেও
জেদ চাপলে চিবিয়ে মাথা খায়।
সুযোগ পেলেই সেও ভীষণ বকে?
তোরই মতন স্বল্পভাষী নয়।
হঠাৎ চোখে চোখ রাখলি আমার।
সামনে থাকা ভিড়ের আওয়াজ কই।
ভাবি বকবকিয়ে আজকে হব আমি।
যদি আমার মতই শান্ত থাকিস তুই?
যদি আবার কাউকে নিজের করিস।
যদি মনের মানুষ পাওয়ার সুযোগ হয়।
নিজের মতন কাউকে খুঁজে নিবি।
যে আমার মত এক্কেবারেই নয়।
বছর চারেক পরে আবার দেখা,
আজও কি তুই অতীত ছড়া আঁকিস?
আজকে আমার রোগের চাঁদর গায়ে…
যাচ্ছি মরে খবর সে কি রাখিস?
ভিড়ের মাঝেই হারিয়ে আবার গেলি।
হন্ন হয়ে খুঁজছি চারিদিক।
আবেগ গুলো মারছে ঠোকা ভীষণ
সময় পেলেই আমিও কাঁদব ঠিক।
যদি এই জন্মের পরেও কিছু থাকে
আবার যদি জন্ম দুজন পাই
ইচ্ছে গুলো পুড়িয়ে দিতে রাজি
শুধু সেই জন্মে তোকেই আমার চাই।
আবার আমায় আজকে গেলি ছেড়ে।
পড়বে মনে আমার কথা যেই
খুঁজতে আসিস বছর চারেক পরে
সেদিন হয়তো দেখবি আমি নেই।