আমি ছিঁড়ে, ছুঁড়ে যাবো দলে

প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍

Loading

তোমরা আমাকে যতই মুক্তোর মালা গেঁথে পরিয়ে দাও গলে
সেই বিভৎস দিনগুলি কখনোই যাবো না আমি ভুলে।
অন্তরতম প্রদেশে ঝর্ণার জলের মতো ঝরে ছিলো রক্ত
সেই থেকে হ’য়েছি আমি নিষ্ঠুর আর শক্ত।

চিনেছি আমি হাড়েহাড়ে চিনেছি
দ্যাখেছি আমি তোমাদের বিভৎস মুখখানি।
তোমাদের আথিতেয়তা মনেহয় কুঠারাঘাত
পদদলিত করি আমি তোমাদের সশ্রদ্ধ খাতির।

তোমাদের ধরা মই বেয়ে ছুঁইতে চাইনি আকাশ
আমৃত্যু যদিও গ্রহণ করি বিষাক্ত বাতাস।
এসোনা আমাকে বাঁধতে সামাজিক নিয়মে —
ভেঙে করবো চুরমার, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে পলস্তার।

দ্যাখোনি পরিত্যক্ত দালান থেকে কিভাবে খসে পড়ে পলেস্তারা?
মৃত্তিকার বুকে কিভাবে পদচিহ্ন এঁকে যায় সৈনিকেরা?
আমি উশৃংখল, মিমাংসা করিনা মিথ্যের সাথে
মুছে দাও মোর নাম পান্ডুলিপি হতে।

আমি দ্যাখতে দ্যাখতে বড় হ’য়েছি —
নিয়মের নামে অনিয়ম, বিচারের নামে নির্বিচার
সত্যের অপমৃত্যু, মিথ্যের জয়-জয়কার জয়োৎসব
আমি দ্যাখেছি নিয়মের এপিঠ্-ওপিঠ্ দুপিঠ।

রাতের আঁধারে যাঁরা অপকর্ম অপদস্ত করে —
দিনের আলোতে তারা-ই নবপল্লবের লেবাসে ঘুরে
তোমাদের দেয়া খ্যাতি আমি ফেলে দিলাম ছুঁড়ে
বাঁধতে যেওনা মোরে বাহুডোর, প্রেমডোর কিংবা তিথিডোরে।

আমি দ্যাখেছি ভদ্রলোকের মুখোশের আড়ালের মুখ
খুব ভয়ঙ্কর,বিভৎস,হিংস্র,দোর্দণ্ড,ভীতি ও বিষাক্ত
আমি শুনেছি তাদের মুখের নগ্ন,অশ্লীল,কাদাটে ভাষা
সকল অপকর্মের তারা-ই চাষা।

তোমরা আমাকে যতই মুক্তোর মালা গেঁথে পরিয়ে দাও গলে
আমি ছিঁড়ে, ছুঁড়ে যাবো দলে —
হওক সেটা বুদ্ধি, ক্ষমতা কিংবা গায়ের বলে —
নিজেকে আর জড়াবো না তোমাদের বিছানো জালে।

১৭/০৯/২০২২ইং, সৌদি আরব

0

Publication author

0
মোঃ আকাইদ-উল-ইসলাম (মিটু সর্দার)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়মুড়া গ্রামে ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর, এক সম্ভান্ত্রশালী মুসলিম পরিবারে কবির জন্ম। কবির পিতার নাম নূরুল ইসলাম (মাষ্টার) আর পিতামহের নাম আলতাব আলী সর্দার
Comments: 0Publics: 144Registration: 02-04-2022
প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন :--👍
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

পরিচিতি বাড়াতে একে অপরের লেখায় মন্তব্য করুন। আলাপের মাধ্যমে কবিরা সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। জমিয়ে তুলুন কবিতার আড্ডা।