জীবনের পরে
260 total views
হাসপাতালের এদিকটা ফাঁকা
নির্জন নিস্তব্ধ
তাই চাকার একটানা মৃদু কিচকিচ শব্দ, তীক্ষ্ণ ফলা হয়ে কানে বিঁধছে
লম্বা করিডোরের শেষে একটাই জানলা, খোলা
সেই আলোয় যতটুকু দেখা যায়
দুপাশের সব ঘরগুলোর দরজা বন্ধ, তালা দেওয়া
– শুধু বাঁদিকের একটা বাদ দিয়ে
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানেই রাখতে হবে
তাদের নির্দেশ মানা আমার কাজ
ছেলেটার উনিশ
বাবা ইঞ্জিনিয়ার, বেহালায় নিজস্ব দোতলা বাড়ি
মেয়েটা বড়ই হবে
বাইশ-তেইশ
এরা একে অপরের অপরিচিত….
হয়তো কেউ কাউকে দেখেই নি কোনদিন
আমি দুজনকে সেখানে রেখে, বাইরে থেকে তালা দিয়ে ফিরে আসছি
দুটো সমত্ত ছেলে মেয়েকে
এমন শুনশান জায়গায় একটা ঘরে রেখে দেওয়া
যেতেই পারে
কারন দুজনের কেউ-ই বেঁচে নেই ।।