নীল খামের চিঠি
মনে হয় এই পৃথিবীর বুকে
একদিন জন্ম নিয়েছিলাম আমি
অনেক রাত্রি ধরে এখানে লিপ্ত
আকাশ হতে নীহারিকা
নুইয়া পড়ছে স্বর্গ যাত্রীর মতো;
মৃত্যুর পদচিহ্ন বেড়ে উঠছে এখানে
জীবনকে পিছে রেখে-
এ পৃথিবীর নীল খামের চিঠি
আমার হাতের মুঠোয় ভূমিষ্ঠ হয়ে
সকলকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে।
আমার জীবনের লাল নীল প্রহর
কুয়াশা ঢেকে ঢেকে নিমন্ত্রণে
বাতাসের দিকে ছুটে চলেছে অনায়াসে;
মরুকে? পাহাড়কে? সাগরকে?
যে পথ আঁকা হয়েছে অনন্তকালে
সেখানে মৃত্যুর প্রহরী হয়ে আমি।
একটা চিঠি-মাএ একটা চিঠি
তোমার লেখা একটা চিঠি পেলাম
জানিনা কিভাবে!
আজ গভীর রাত্রে; জানালার কপাট
খোলা রয়েছে তোমার অপেক্ষাতে!
বিস্ময়-শুধুই বিস্ময় জাগে মনে
কখনো যদি ফিরে না আসে সে!
তবুও একটা ভয় কাজ করে মনে।
আজ অন্ধকার রাত্রির মতো এখানে
প্রান্তরে ঘাসের বিছানায় শুয়ে;
শুধু একটি কবিতা লিখে ছিলাম
তোমার দেওয়া-নীল খামের চিঠির নীচে;
কাকে দেবো চিঠিটি?
শুধু পদচিহ্ন আঁকা হয়েছিল মননে
আজ তবু কল্পনার আকাশ ভরে গেছে
হাজারো নতুন নতুন তারার সমাবেশে।
তবুও পৃথিবীর আলো
চেয়ে থাকে চাতক পাখির মতো করে
কখন সে আসবে জীবনে!
এই নীল বাংলার ভুবনে
হেমন্তের শীতল বাতাস
ফসলের খেতে খেতে দোলা দেয়।
ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছিল
প্রেম কাহিনী; তবুও সেদিন কেনো?
ঝরে পড়েছিল জীবনের পাতাগুলো!
নীল খামের চিঠি রাত্রি পোহালে
একটা কাহিনী রচিত করবে
যেখানে বাতাস শাশ্বত বেশে
মৃত্যুকে হাসি মুখে নিয়ে যাবে
এপার থেকে ওপারে।।
১১/০৭/২১