বল
তবে অর্ধ যতনে রাখিবে তাহারে, ভিন পরী,
অনতল সে সুধা ঢাকিতে নারে
প্রাণ হয় যে ওষ্ঠাগত,
অনিদ্রা দামে, ফির চিনি তারে
যবে, প্রনামে চরম শতশত;
আমি তা কহি না, -বরং তোমা মুই ডরি,
তাহা কি তাহার’ই ঘর
বিবেক যে করেছে অপর
তরু ছায়ে বৃথা, অনিষ্ট তোমা চেষ্টা; বেস বৃক্ষ রাজি,
কিন্ঞৎ আশ্রয়ে দিবে তোমা দুগ্ধসর
আমি কহি রাখি বাজি
দিনন্তে একমুঠো ভাত কেন নহে, কেন নহে ফল
অনন্তের শৃঙ্খলে সবই তো চিরগতিময়
একটুখানি, এমন রহ তবে,
জীবন ফুলমধু, যে চিনে, করে হে, হয় বিজয়;
নির্দন্দ্ব হয় যে, হে সে রবে
ণচেৎ, ঘৃনাসম হই রবে তব দল
যাহা রাখে পাঁচ, পিছে এক নব কলস
না হয় ভর্তি তব রোষানল
না হয় ভর্তি তব অভিমান;
আমি রহি আজিকের কবি, বলি হে অমল,
কৃশনয় মোর মান ও দান
তোমা কিন্ঞৎ সেবা ভুলিবে মোর দোষ
নহে, তবে রাজবীর ভুলে গাথা
রহে, বলে, রাজন্য কোথা তোমা মাথা,
জীগিয়া যতেক নহে জানে, অধিক পাপদহে
ডুবি ডুবি; পাছে শ্বাসরুদ্ধ ব্যাথা,
শিরোনাশ করি না রহে রহে
আমি বলি তোমা, যাই মুই, যদিও রসাতল
শিংধারী নহে তব ণিমিত্ত
নহে তব দিগন্ত বিস্তৃতক্রীড়াসহ
সদা বেস রহ মৃণ্ময় সম, না রহে বিত্ত,
যুগে যুগে দুষ্টের দাহ
দেখ সবে হয়ে রহে, সরলতায়, যাহার কিবা বল।
স্থাণঃ শ্রীরামপুর, নদীয়া
23/08/2017