অমীমাংসিত
ডুব সাঁতার দিয়ে
একটা কবিতা থুয়ে এসেছি
মাঠ পুকুরের মাঝে।
জল ফড়িং এর তাদারকি
আর মাছ রাঙার পাহারায়
কবিতা আজও নিশ্চিন্তে
ঘুমায়, জাগে, খেলে বেড়ায়।
ও খুব লাজুক
হালকা রঙে সাজিয়ে রেখে এসেছি
মাঠ পুকুরের পাড়ে!
ছায়ানটে তন্বী শরীরে জাগে প্রাণ,
মৃদু তরঙ্গে ফুটে ওঠে ছায়াপট,
বাজতে থাকে ডালপালায়
বিনা তালিমের ঐক্যতান।
কখন অন্য খেয়ালে
খালি পায়ে হেঁটে চলে এসেছি
গল্পের খোঁজে অনেকটা পথ।
কত সহস্র মনের গলি পথ থেকে
ধুলো কাদা মাখা রাজপথ, পাঁচিল
পেরিয়ে, জিরিয়ে, দাঁড়িয়ে
খুঁজে চলেছি এক অন্তমিল গল্পের!
এ চরাচর দায়বদ্ধ এক একটা
গল্পের কাছে, যেমন দায়বদ্ধ শিকড়।
রস, রসদ আর অধিকার
আঁকড়ে নিয়ে, আগলে নিয়ে
ভাওয়াইয়া হয়ে ছড়িয়ে পড়ে
সাতমহলা থেকে কুঁড়ের আধোছায়ে
নির্মোক, নির্মোহে অনাদি অনন্তে।
পড়ন্ত বিকেলের শেষ আলো মেখে
গল্পের সাথে যাযাবরের রোমাঞ্চতা
ঝুলিতে রেখে, বারে বারে ফিরে আসি
মাঠ পুকুরের নিটোল ছায়ে।
কেন? কেন এ দ্বন্দ্ব বারংবার?
পেটের হদিস পেলেও মনের পেলাম কই?
কবিতা আজও বিদ্রোহী নয় তাইকি?