কল্প গাঁথা
শিরোনাম: কল্প গাঁথা
১৮_১০_২৩_আগন্তুক
শব্দের নগরে ছিল শব্দ দানব ,
রানি স্বজাতি নিয়ে সুখে।
সভাসদ গণ বিবশ ছিল,মুগ্ধতা
বুঁদ দানব রাজার বশে!
বোঝে সব রাজা মন্ত্র পুত সবে,
নগরে দানবের যন্ত্রে!
দু এক জন বিদ্রোহ করে,দেখে
ভয় অতি গণ তন্ত্রে!
কবি গণ ছিল ছন্দে র রসে বুধ,
কাব্যের শূরা মজে!
কথা কবিতায় বিপন্ন রাজ বোধ,
দিয়েছে সাব্বাসী গুঁজে!
গর্জায় রাজা দ্রোহী প্রজা বেটা,
স্পর্ধা পেলি কোথায়?
এতক্ষণ পড়ে,সভাসদ গণ,ত্বরিত
টুটে নেশা চেঁচায়!
হায় হায় গেলো বুঝি সব নগরের,
শব্দের দানব রাজার!
উগ্র মূর্তি দানব,কবি গণে ছলনে,
আহ্বান দানব সাজার!
এ নগরে সে মান পেয়েছে মন্ত্রী র,
কোথা পাবে সহজে!
মুখ বুজে তাহারা কিছু না বুঝে ই,
স্বজাতি সনে যুঝে!
দানবের ক্রূর ভাষা না বুঝে তাহারা,
স্বজাতি র খুনে রাঙায়!
যে ভাষার শব্দার্থ সমাজের অচল,
মোসাহেবি সেই ভাষায়!
মানুষেরে জন্তু উপাধি ভেবে সবাই,
মনুষ্যত্ব তারা হারায়!
নিজ নিজ মুখে চুনকালি মাখিয়া,
দানবের পাশে দাঁড়ায়!
এভাবে কাটে দিন,নিরাশা শুধু যে
দানব রাজার মনে!
জানে কোন ক্ষণে এ নগরে বিপ্লব
করবে,জনে জনে!
সভাসদ গণেরা ম্যাজিকের নগরে,
উড়ায় স্বপ্নের ফানুস!
একদিন জগতে হবে কবি কবিতার,
বলবে কবি মানুষ!
কবি সে কবেই হয়েছে অন্তরে মনে,
নিবিড় ভুলেছে সে মানুষ!
লিখছে সস্তা কাগজে কবিতা কথা,
মানবতার কবি বেহুঁশ!
দানব শেখে চুপিসারে,কবিতা ভাষা
কথা,দিনে দিনে কবি গত!
যায় দিন দ্রুত ঝড়ের বেগে হারিয়ে,
নিত্য নতুন চমকে কাটে!
অভিভূত কবি গণ কেরামতি দেখে,
কবি দানবের বাটে!
এরই মাঝে তে দানবের অভিসন্ধি,
নগর ছেড়ে ছদ্মবেশে!
মানুষের নগরে ঘোরে আর পোড়ে,
মনে মনে দানব ফোঁসে!
নানান পরিচয়ে এ নগরে ও নগরে,
দানব গোপনে হাসে!
মানুষের তরে কথার ভাষা শিখছে,
দানবের ছিল না বশে!
দানব যদিও মানুষের সঙ্গে থেকে,
মানুষ হলো ছদ্মবেশে!
শব্দ দানবের নগরে মানুষের কবি,
দানবের স্বজাতির ফাঁসে!!