বড়হ খেলা হবেক
।। বড়হ খেলা হবেক ।। – অভিজিৎ ভূঁইয়া মইনচ্য থিকে উহারা বইল্ল – ” খেলা হবেক ! বড়হ খেলা হবে…ক ” ! ইমন শুইনে, দ্যেখি – বাঁধভাঙ্গা হড়পা বানের মতন কত্তগুলান লক জনহসভার ভিড়-হাপরের ভিতর লাইল মাটির…
।। বড়হ খেলা হবেক ।। – অভিজিৎ ভূঁইয়া মইনচ্য থিকে উহারা বইল্ল – ” খেলা হবেক ! বড়হ খেলা হবে…ক ” ! ইমন শুইনে, দ্যেখি – বাঁধভাঙ্গা হড়পা বানের মতন কত্তগুলান লক জনহসভার ভিড়-হাপরের ভিতর লাইল মাটির…
সকাল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামে নীল গগনে খেলা ছেড়ে ফিরে শিশু নীড়ে নিজ নিজ পিতার আহ্বানে, সারাদিন হয়ে উদাসীন থাকি বসে খেলার মাঠে কেউ ডাকেনা আয় ফিরে ঘরে আদর ভরা সুরে। বাবা আজ তোমায় বড্ড পড়ে মনে কতদিন ডাকনা নাম…
ফুটপাতের এখানটায় টিমটিমে লাইটপোস্টের আলো ন’টার রাতে হুঁস্ হুঁস্ করে গাড়ি যাচ্ছে আসছে পথচারীর সংখ্যা নিতান্ত কম নয় শহর সেজেছে চোখ ধাঁধানো আলোর অলঙ্কারে যেমন প্রতিদিন সাজে একটু দূরে একটা প্যান্ডেল হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে একটা প্রাসাদ রাতারাতি…
তুমি, শব্দ উল্টে দেও তোমাকেই যে বলছি পেয়েছ কিছু একটা? তাতে কিছু পেলে নাকি হয়তো সেটা সুন্দর সুন্দর একটা কিছু। আমি যখন উল্টোই তখন বুঝতে পারি মনের সমুদ্রে কেউ নেমেই সাঁতার কাটে, আকাশ বাতাসে ভেসে থাকা অদেখারা মিলে আমার পৃথিবী এসে…
চাওয়া হাকিকুর রহমান সহস্রাব্দ কেটে যায়, পদ্মায় কত জল গড়ায়, হিসেবটাকি রাখে কেউ- ক্ষণজন্মা এই জীবনে, ভরা তো উত্থান আর পতনে, বহে শুধু বেদনার ঢেউ।। কালের সন্ধিক্ষণে আছি দাঁড়ায়ে, অভিলাষী আশাতে দু’বাহু বাড়ায়ে। সকলই তো ভর করে গতিহীনতায়- হারায়ে গিয়েছে…
অতি সহজে কিছু জুটলে এক নিয়তি পথের ধারে লুকিয়ে থেকে অনবরত, হিংসা চোখে তামশা চোখে তাকিয়ে রয় সুযোগে পেলে ঘাপটি মেরে ছিনিয়ে নেয় থলি। সহজে যদি মেলায় ঘর সেই ঘরের বেশি দিনেক থাকে না রস। সহজ করে কিছুই যেন পাইতে…
আমরা পথশিশু জম্ম পরিচয় নাই জীবনভর হই পদপিষ্ট, কেউ বলে টোকাই, বুকে যন্ত্রণা নিয়ে চলি জীবনের অলিগলি ভালবাসার ফুলকলি ছিঁড়ে নিভি আর জ্বলি মনের কথাকলি কেউ শুনে না আমরা পথের ধুলি, কে বাবা, কে মা জানিনাতো কিছু পথে হাঁটতে হাঁটতে…
একদল জোনাকি হাকিকুর রহমান একদল জোনাকি, প্রাণের আকুতি দিয়ে, অতিশয় নীরবে বাঁশ বাগানের আঁধারে আলো ছড়িয়ে দিয়ে বল্লো, সারা পৃথিবীকে এমনি করে আলোকিত করার ইচ্ছে রইল- একদল জোনাকি, কোন ক্ষতিপূরণ ছাড়াই অভাগিনী মায়ের প্রদীপ নেভানো ঘরটাকে আলোকিত করে রাখলো, আবির…