বাংলা কবিতা

পড়ন্ত বিকেলে যদি চলার পথ শেষ হয় তবে হৃদয়ের টুকরো দিয়ে তৈরী হয়েছিল চলার পথ। দূরত্ব উঁচু উঁচু অট্টালিকার চেয়েও সুদীর্ঘ এই শহর বেড়ে ওঠে চোখে চোখে বিষাদের ভাষা ক্রমাগত স্মৃতির দূরত্ব বাড়ায়। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় অবগাহন পরাজিত মানুষ মাথা উঁচু…

মানুষের বিকৃত ছায়া পেরিয়ে যায় মানুষ নক্ষত্র পরিণামে। এই লাঞ্ছনা আর পরাজয়ের অধ্যায়গুলো ভূমিকাতে স্থান পায় না পড়ে থাকে শুধু উপসংহারের পাতায়। মানুষই ভূমিকা লেখে আবার মানুষই উপসংহার বানায়। যেমন ধরুণ যুদ্ধে মানুষ মারে মানুষকে আবার মানুষই পাল্টায় পৃথিবীর মানচিত্রকে;-…

জয় পরাজয়ের নিয়মে সবাই বেড়ে ওঠে এই শহরে এই পৃথিবীতে। মানুষেরা বিসর্জন দেয় সমস্ত আত্মপরাজয় ক্ষয়ের নিকটে এগিয়ে। পার হয়ে যায় অজস্র স্মৃতিচিহ্ন আত্মপ্রত্যয়ে জ্বলে ওঠে বিরহ সরে যায় আশার আলো একগুঁয়ে উত্তাপ মেরুর পথে। পৃথিবীর অতি সংশয়ে ক্ষুদ্র প্রয়াস…

অঢেল কল্পনা মিশে যায় অস্তিত্বে সম্পূর্ণ বিরহের সংযোগে। এক করুণা সিন্ধু সাথীহারা অবমাননা জানায় মনে হয় অভদ্রতায়। পৃথিবীর অতি নিকটে যে তারাগুলো আলো দেয় সমস্ত অনিশ্চয়তার অবকাশে তাঁরাও একদিন ঝরে যায় অজস্র দুঃখ বেদনায়। অন্ধকার অরণ্যের ছায়াপথ এগিয়ে যায় অবুঝ…

নতজানু, বসে আছি, নতমুখ, বীতসুখ কতকাল, তার অপেক্ষায়, তীক্ষ্ণধার কত জল, ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে, কটি বেয়ে মিশে গেল, ভূমে, ভিজে গেল পর্বত, তৃপ্ত কন্দর আর ঊর্বরা সে জঙ্ঘাদেশ, সান্দ্র হলো ভূমি করুণায়। নতজানু, বসে আমি অন্তহীন তবু অপেক্ষায়। আকাশ পিতার মতো…

কাব্য আছে বলে জীবন আমার পদ্যময় সব দুঃখ আঘাত মুছে যায় তারই আলোয়, কাব্য আছে বলেই বৃথা নয় এই সৃষ্টি যেমন নীরস ফুলে ঝরে অমৃতে ভরা বৃষ্টি, কবিতার গন্ধে আপ্লুত এই বিশ্ব ভুবন সবই ছন্দময়- ভূতল, অখিল ও পবন, কাব্যের…

গ্রিটিং কার্ডটি ছিল সেদিন খাতার ভাঁজে রাখা, স্বপন সেদিন ছিল শুধু তোমায় নিয়ে আঁকা। এসে ছিলো নতুন বছর জ্বালিয়ে প্রেমের আলো, ভেবে ছিলাম আমায় তুমি- সেদিন বাসো ভালো। তখন ছিলো তোমার ১৫ সবে, হওনি ষোড়শী,, সেদিন হৃদয় জুড়ে ছিলে তুমি…

নারী তুমি অপরূপ কথা কভু ভালোবেসে পাই যে ব্যথা, তোমাকে ভালোবাসতে গিয়ে; লিখেছি অমর প্রেমের কবিতা। তুমি ভুলে যেও না গো, এই সহজ সরল মনটা কে, তুমি কষ্ঠ দিও না গো; যে আসল ভালোবাসে তোমাকে। তোমার প্রেমে অন্ধ আমি, শান্ত…