সে আমার হতে চাইনি
সে আমার হতে চাইনি
সভ্যতার হাতে তাজা খুনের রহস্য
রক্ত পিপাসার সন্নিকটে।
আসক্ত বুকের পাঁজর ভাঙ্গার পর
বহু বছর পর আবার দাঁড়িয়েছি উঠে আমি
যদি পিছন থেকে কেউ আমারে ডাকে!
সূর্য নক্ষত্র রাত্রি শুকায়ে যাবে মরণের মুঠোয়
চেয়ে চেয়ে শতাব্দীর অভিযোগে।
হারিয়ে যাবে নীল পাহাড়ের বেদনা
কিঞ্চিৎ পরিমাণ ভালোবাসা নিয়ে,
তারপর যখন ফিরবে ব্যথার প্রহর
আর তখন পাহারা দেবো শহরের সমস্ত মৃত লাশ গুলো;যাদের হৃদয় জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েছিল প্রেমের চৈএমাসে, তাঁহারা আজ সবাই মারা গেছে এই শহরের রাজপথে।
রাতের শেষ ট্রেনও জোড়ালো শব্দ করার পর চুপচাপ এই শহর দিয়ে পেরিয়ে চলে যায়,
কারণ শহরে শুধু লাশের পরিচয় পাওয়া।
সে আমার হতে চাইনি
হতে পারেনি অন্যকারো!
বহু পুরুষের হৃদয় পুড়ে গেছে প্লাস্টিক বাক্সের মতো
ক্ষয়ে গেছে মরুভূমির উত্তপ্ত বালুরাশি
উড়ন্ত পাখার মতো করে।
ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে
ছায়া পরেছে রাতের শেষে
চোখের বিছানায় শুয়ে আছি
কবিতার কলমকে খুন করে।
সে আমার হতে চাইনি
কিন্তু সে হয়নি তো অন্য কারো!
নির্জনে ঘিরেছে জোনাকি হেমন্তের শিশির
আর বাহিরের প্রান্তরে ঘাসে ঘাসে পরিচয়।
রাত জেগে শহরের কথা
কত জনই বা লিখতে পারে!
নিস্তব্ধ গ্যালাক্সিতে আমার তারার আকাশ
বর্ষা ফিরিয়ে দিয়ে চতুর্থ লেনের অবসানে।।